ক্লাসরুমের মধ্যে ছাত্রকে বিয়ে। সেই ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়া। যে ছবি ঘিরে সম্প্রতি তোলপাড় হয়েছিল হরিণঘাটার আবুল কালাম আজ়াদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইস্তফা দিলেন ওই অধ্যাপিকা। তার আগে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, একটি নাটকের দৃশ্যে অভিনয় করতেই তিনি কনের সাজে সেজেছিলেন। যা মানতে চায়নি ম্যাকাউটের কতৃপক্ষ।
কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রের সঙ্গে বিয়ে করছেন এক মহিলা। সম্প্রতি নদিয়ার হরিণঘাটার আবুল কালাম আজ়াদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির এই ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যে মিডিও সত্যতা যাচাই করেনি এডিটরজি বাংলা। পরে জানা যায়, ওই মহিলা কলেজের অধ্যাপিকা। হরিণঘাটার ম্যাকাউটে অ্যাপ্লাইড সাইকোলজি পড়ান। নাম পিয়ালি বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত ২৮ তারিখ এই ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। তারপর অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে। অবশেষে ম্যাকাউট থেকে ইস্তফা দিলেন ওই অধ্যাপিকা। গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পার্থপ্রতিম লাহিড়ির কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ওই অধ্যাপিকা। তার আগে, তাঁকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল। ম্যাকাউটের রেজিস্ট্রার জানিয়েছেন, অধ্যাপিকার ইস্তফা উপাচার্যের কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
এই ঘটনার পর মুখ খুলেছিলেন ওই অধ্যাপিকা। সোশাল মিডিয়ায় লাইভ করে দাবি করেছিলেন, এই ভিডিও ভাইরাল করে তাঁকে অপমান করা হয়েছে। তাঁর দাবি ছিল, কারিকুলামের অংশ হিসাবেই তিনি এই কাজ করেছিলেন। আবার তিনিই দাবি করেছিলেন, একটি নাটকের দৃশ্যের মহড়া হিসাবে তিনি লাল বেনারসি এবং গোলাপ হাতে সেজেছিলেন।
কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে গঠন করা কমিটি পাল্টা রিপোর্ট ছিল, কোনও ভাবেই ক্লাস রুমের মধ্যে ছাত্রকে বিয়ে করার ঘটনায় কারিকুলামের কোনও অংশ যুক্ত ছিল না। ওই কমিটি রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, এই ঘটনা প্রতিষ্ঠানের সম্মানকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে।