RG কর কাণ্ডে বিচারের দাবিতে আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তার স্নিগ্ধা হাজরা। তাঁর বাঁকুড়ার বাড়িতে পৌঁছল পুলিশ। এমনই অভিযোগ তুললেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পুলিশ তাঁর বাড়িতে যায়। যদিও কারো দেখা পাননি পুলিশ কর্তারা। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের এক জুনিয়র চিকিৎসক অভিযোগ করেছেন, মাটিগারা থানা থেকে তাঁর বাড়িতে ফোন করা হচ্ছে। এবং অনশন তুলে নেওয়ার জন্য বারবার চাপ দেওয়া হচ্ছে।
১০ দফা দাবি পূরণে ৬দিন ধরে টানা অনশন করছেন স্নিগ্ধা হাজরা। কিন্তু বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাঁর বাড়িতে পুলিশ যাওয়ার ঘটনায় অনেকেই অবাক। পুলিশের তরফেও এই বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি জানিয়েছেন, অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করেই স্নিগ্ধার বাড়িতে গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু বাড়িতে কেউ না থাকায় ফিরে আসতে হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বর্তমানে বাঁকুড়ার প্রতাপবাগানের বাড়িতে স্নিগ্ধার পরিবারের কেউ নেই। তাঁরা বিশেষ প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে রয়েছেন। অয়ন মিদ্যা নামে স্নিগ্ধার এক প্রতিবেশি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, রাত দেড়টা নাগাদ পুলিশের একটি গাড়ি এবং বাইকে করে কয়েকজন সাদা পোশাকের পুলিশ স্নিগ্ধার বাড়িতে গিয়েছিল। বেশ কিছুক্ষণ ডাকাডাকি করেন তাঁরা। কিন্তু সাড়া না পেয়ে ফিরে যান। যদিও অত রাতে কেন অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারের বাড়িতে পৌঁছল পুলিশ সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
স্নিগ্ধার পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালেও পুলিশের তরফে তাঁদের বাড়িতে ফোন করা হয়েছিল। শারীরিক অবস্থার কথা চিন্তা করে অনশন তুলে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়। তবে স্নিগ্ধার বাবা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর মেয়ে বড় হয়েছেন। সুতরাং পুরো সিদ্ধান্ত মেয়ের উপর ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।
জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে দেবাশিস হালদার জানিয়েছেন, অনশনের জেরে ভয় পাচ্ছে রাজ্য সরকার। সেই কারণে তারা ভয় দেখিয়ে অনশন তুলে দিতে চাইছে। তবে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, দাবি না মেটা পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন তাঁরা।