ভালবেসে যে মানুষটাকে বিয়ে করেছিলেন, সে যে এমন কাণ্ড ঘটাবে, দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি রেণু খাতুন।সরকারি চাকরি পেয়েছেন স্ত্রী, এবার যদি স্ত্রী আর না থাকেন, এই আশঙ্কা থেকে স্ত্রী রেণুর (Renu Khatun) কব্জি কেটে নেওয়ার অভিযোগ স্বামী মহম্মদ শেখ ওরফে সরিফুলের বিরুদ্ধে। কেতুগ্রামের (Ketugram crime case) এই ভয়াবহ ঘটনায় রেণুর শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করল কেতুগ্রাম থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোরে বাসে চেপে পালানোর ছক কষেছিলেন অভিযুক্ত শের মহম্মদের বাবা-মা। খবর পেয়ে কেতুগ্রাম গ্রাম থানার পুলিশ চাকটা বাসস্ট্যাণ্ড থেকে তাঁদের গ্রেফতার করে। প্রধান অভিযুক্ত শের মহম্মদ যদিও বেপাত্তা। তাঁর খোঁজ পেতে বাবা সিরাজ শেখ এবং মা মেহেরনিকা বিবিকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ।
West Bengal Private Schools: রাজ্যের বেসরকারি স্কুলের উপর নজরদারিতে কমিশন গড়বে সরকার
স্বামীর পাশেই ঘুমোচ্ছিলেন, হঠাৎ তীব্র যন্ত্রণায় ঘুম ভেঙে যায়। মুখে বালিশ চাপা দেওয়া, তাই চিৎকার কানে যায়নি কারও। ডান হাতে বার বার ভারী হাতুড়ির ঘা মেরে মেরে ডান হাতটা ততক্ষণে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। এর পর টিন কাটার কাঁচি দিয়ে ডান হাতের কব্জি কেটে নেওয়া হল রেণু খাতুনের। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের (Ketugram Incident) বাসিন্দা রেণুর স্বামী শের মহম্মদ ওরফে সরিফুলের বিরুদ্ধে এমনই ভয়াবহ অভিযোগ। রেণুর পরিবারের দাবি, এ সবই হয়েছে রেণু সরকারি চাকরি পাওয়ার পর, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ।
দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রেণু। তীব্র যন্ত্রণা চেপে হাসপাতালের বিছানায় শুয়েও লড়াই চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর রেণু, দাবি জানিয়েছে তার তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করা হোক। রেণু জানিয়েছেন,, ‘‘যাঁরা আমার হাত কেটে নিয়ে ভবিষ্যৎ নষ্ট করার চক্রান্তে জড়িত, তাঁদের যেন কঠোর শাস্তি হয়।’’
রেণুর পরিবারের দাবি, ঘটনার পর বন্ধুবান্ধব্দের সঙ্গে তাঁর স্বামীই তাকে কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি করে পালিয়ে যায়। বাপের বাড়ির লোকজনের আরও দাবি, রেণুর শ্বশুর তাঁদের ফোন করে কাটা হাতটি নিয়ে যেতে বলেন। তারপর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজনও বেপাত্তা হয়েছেন বলে দাবি।