মত্ত অবস্থায় ছিলেন। ব্লেডও দেখিয়েছিলেন সহযাত্রীকে। অকপটে পুলিশের কাছে একথাই স্বীকার করে নিলেন রামপুরহাটের ঘটনায় আহত যাত্রী সজল শেখ।
তাঁকে জিজ্ঞাসা করতেই সে পুলিশকে জানায়, শনিবার সাঁইথিয়া থেকে আসছিলেন তিনি। মল্লারপুরে নেমে মদ্যপান করেন। এরপর ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ধরে রামপুরহাটে বাড়ি ফিরছিলেন। এও জানান মত্ত অবস্থায় ট্রেনে উঠেছিলেন। যা বেআইনি। কিন্তু ওই সহযাত্রী ট্রেনের মধ্যে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলছিলেন। পাশে কয়েকটি পরিবারের লোকজন বসেছিল। তাঁদের অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলতে বারণ করলে তাঁর কলার ধরা হয়েছিল। তারপরেই পকেট থেকে ব্লেড বার করেছিলেন সজল। কিন্তু কখন যে তাঁকে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে তা আর মনে নেই।
সজল বলেন, 'আমার মনে নেই কখন ফেলে দেওয়া হয়েছে। যখন হুঁশ ফিরল, দেখছি আমি রেললাইনেই পড়ে আছি। মাথা থেকে পা যন্ত্রণা করছে।' তারাপীঠ থেকে রামপুরহাটের মাঝামাঝি জায়গাতেই এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন সজল। পুলিশকে তিনি আরও জানিয়েছেন যারা তাঁকে মেরেছিল তাঁদের দেখলে তিনি চিনতে পারবেন।
ট্রেনে সহযাত্রী সঙ্গে বচসায় রাগ মেটাতে চলন্ত ট্রেন থেকে সজলকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এক যাত্রীর বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া-মালদহ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে। অন্য এক সহযাত্রীর রেকর্ড করা ভিডিয়োর ভিত্তিতে অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এর মধ্যেই ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয় তাঁকে।