RG কর কাণ্ডের পরেই নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। যদিও বামফ্রন্টের তরফে সরাসরি জানানো হয়েছিল, ছাত্র সমাজের নামের ওই সংগঠনের কর্মসূচিতে তারা অংশ নেবে না। জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন নিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের নেতারা। এর পাশাপাশি সদস্য সংগ্রহের প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। অনলাইনে সদস্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে।
কোনও রাজনৈতিক দলের ব্যানার ছাড়াই নবান্ন অভিযান করেছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। গ্রেফতার করা হয়েছিল ওই সংগঠনের অন্যতম নেতা সায়ন লাহিড়িকে। যদিও কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বর্তমানে মুক্ত তিনি। সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সায়ন জানিয়েছেন, নবান্ন অভিযানে অনেক মানুষের সমর্থন পেয়েছেন। আর সেই কারণে শনিবার থেকে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। প্রথম তিনদিনেই সদস্য সংখ্যা ৩ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে।
সায়ন জানিয়েছেন, সদস্য হওয়ার জন্য সোশাল মিডিয়ায় আর্জি জানানো হয়েছে। যদিও এই মুহূর্তে তাদের কোনও লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়নি। তবে সোশ্যাল মিডিয়া পেজেই পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মোট ১১ দফা দাবি তোলা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের তরফে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে জেলা ও ব্লক স্তরে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো সদস্য খুঁজছেন তাঁরা। পাশাপাশি যাঁরা সমাজের উন্নয়নে সামিল হতে চান তাঁদেরকেও আহ্বান করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে জেলা ভিত্তিক একজন করে কো-অর্ডিনেটর নিয়োগ করে তাদের উপর দায়িত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
একই সঙ্গে দ্বিতীয় নবান্ন অভিযানেরও পরিকল্পনা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের। মিছিলে অংশগ্রহণকারী এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭০ জন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। বর্তমানে তাঁদের জামিনের তোরজোড় করা হচ্ছে। তাঁদের জামিন হলেই দ্বিতীয়বার নবান্ন অভিযান করার পরিকল্পনা নেওয়া হবে। এবং দিন ঘোষণা করা হবে।
তবে সংগঠনের তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, পুজোর আগেই দ্বিতীয় অভিযান করার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে সকলের মতামত নিয়ে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।