সদ্য মন্ত্রিত্ব-খোয়ানো পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল থেকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলন করে পার্থকে মন্ত্রিসভা থেকে ছেঁটে ফেলার পরেই দলেও তাঁর পদ থাকা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। অবশেষে সাংবাদিক বৈঠক করে পার্থ-সংসর্গ ত্যাগ করল তৃণমূল কংগ্রেস।
জানা গিয়েছে, পার্থকে সাসপেন্ড করা হবে নাকি সরাসরি দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। মূলত সেটা আলোচনা করতেই অভিষেকের নেতৃত্বে বৈঠকে বসেছিলেন দলের শীর্ষনেতারা। সেই বৈঠকেই পার্থকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-
পার্থের বিরুদ্ধে যে দল শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে চলেছে, তা বৃহস্পতিবার সকালেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল কুণালের আক্রমণাত্মক টুইটে। যেখানে তিনি দাবি তুলেছিলেন, মন্ত্রিত্ব এবং দলের সমস্ত পদ থেকে ছেঁটে ফেলা তো বটেই, প্রয়োজনে পার্থকে দল থেকে বহিষ্কার করা হোক।
তৃণমূলের ওই কমিটিতে অভিষেক এবং পার্থ ছাড়াও রয়েছেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, রাজ্যের তিন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং প্রবীণ সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সংসদের অভিবেশন চলায় সুদীপ আপাতত দিল্লিতে। তাই তিনি ওই বৈঠকে ছিলেন না।
ঘটনাপ্রবাহ বলছে, কুণালের টুইটের কয়েক ঘণ্টা পরেই অভিষেক বিকেলে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্ত নেন। সেই বিষয়টিও প্রকাশ্যে আসে কুণালেরই টুইটে। ইতিহাস বলছে, তৃণমূলের অন্দরে পার্থের সঙ্গে কুণালের সম্পর্ক বরাবরই ‘মধুর’ থেকেছে। বস্তুত, কয়েক মাস আগে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে পার্থই কুণালকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। তিন মাসও গড়ায়নি। ছবিটা একেবারে উল্টো হয়ে গিয়েছে।