মঙ্গলবার সকালে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) ভূবনেশ্বর থেকে কলকাতায় নিয়ে এসেছে ইডি (ED)৷ তার আগে সোমবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিশদ রিপোর্ট দিয়েছেন এইমসের (AIIMS) চিকিৎসকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, সামান্য কিছু শারীরিক সমস্যা থাকলেও মোটের উপর সুস্থ আছেন পার্থ। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন নেই।
এইমসের মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুযায়ী, ৬৯ বছর বয়সি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ওজন ১১১ কেজি। উচ্চতা এবং বয়সের তুলনায় ওজন অনেকটাই বেশি। পার্থের উচ্চতা ১৬৯ সেন্টিমিটার অর্থাৎ ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি।
19 MPs suspended: সংসদে বিশৃঙ্খলা! রাজ্যসভা থেকে বরখাস্ত ১৯ সাংসদ, রয়েছেন তৃণমূলের সাতজন
মেডিক্যাল রিপোর্ট বলছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাড়ির গতি প্রতি মিনিটে ৮১ বার। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ১০০ শতাংশ।পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তলপেটের ভিতরে কোনও অবাঞ্ছিত তরল পদার্থের খোঁজ মেলেনি। অর্থাৎ, তাঁর যকৃতের সমস্যা নেই। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিল্পমন্ত্রীর যকৃতে গ্লোবিউলিনের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় সামান্য কম হলেও প্রোটিন একেবারে সঠিক মাত্রায় রয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের যকৃতটি সামান্য বড় বলেও জানানো হয়েছে রিপোর্টে।
থাইরয়েড পরীক্ষা করা হয়েছে ধৃত তৃণমূল নেতার। তবে তাতে তেমন কোনও বিচ্যুতি লক্ষ করা যায়নি। তাঁর শরীরে থাইরক্সিন হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক। কিন্তু কিডনিতে সমস্যা রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
গোয়েন্দাদের পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেম, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে মধুমেহ রোগে ভুগছেন তিনি। নিয়মিত ওষুধ খেতে হয় তাঁকে। মেডিক্যাল রিপোর্ট বলছে, আপাতত রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের রক্তচাপ এখন ১২৫/৬১।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কম বলে জানা গিয়েছে। হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিকের মাত্রা ডেসিলিটার প্রতি ১৩ থেকে ১৭ মিলিগ্রাম। এইমসের মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুযায়ী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের রক্তে এর মাত্রা ৮.৫ মিলিগ্রাম।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হৃদযন্ত্রের সমস্যা নেই। স্থূলতার কারণে তাঁর স্লিপ অ্যাপনিয়া রয়েছে। রিপোর্ট বলছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্নায়ুতন্ত্রে কোনও সমস্যা নেই।