বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজগুলোকে অনুমোদন দিতে লাখ লাখ টাকা নিতেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattachargee) । সেই টাকার পরিমাণ প্রায় ৫ থেকে ৮ লাখ টাকা । চার্জশিটে এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) । উল্লেখ্য, সম্প্রতি, মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ১৬০ পাতার চার্জশিট পেশ করেছে ইডি । সেখানেই পার্থ ও মানিকের বিরুদ্ধে একাধিক নতুন অভিযোগ জানিয়েছে ইডি ।
বিএড এবং ডিএলএড কলেজ ও প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজগুলিকে রাজ্যের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন নিতে হয় । একইসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অনুমোদনও নিতে হয় । সেই অনুমোদনই লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে করে দিতেন পার্থ ও মানিক । চার্জশিটে ইডির দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজগুলোকে অনুমোদন দিতে ৫ থেকে ৮ লক্ষ টাকা করে নিতেন । মানিক নিতেন ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা । আর সেখানে সূত্রধরের ভূমিকায় ছিলেন তাপস মণ্ডল । তাঁকে জেরা করে ইডি-র হাতে উঠে এসেছে নতুন তথ্য । তাপস জেরায় জানিয়েছে, অফলাইনে ভর্তির নামে মানিকের নির্দেশে তিনি ছাত্রপিছু ৫ হাজার টাকা করে তুলেছিলেন । অন্য কলেজেওএভাবেই টাকা আদায় করত। অল বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাচিভার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে গৌতম দাস সেই টাকা মানিকের কাছে পৌঁছে দিত । এভাবে প্রায় ২০ কোটিরও বেশি টাকা তুলেছিলেন মানিক ভট্টাচার্য ।
আরও পড়ুন, Tet Exam 2022 : রবিবার রাজ্যজুড়ে টেট, কড়া প্রস্তুতি নবান্নের
উল্লেখ্য, মানিকের বিরুদ্ধে চার্জশিটে নাম ছিল তাঁর স্ত্রী ও ছেলেরও । চার্জশিটে স্ত্রী-পুত্রের নাম শুনে কেঁদে ফেলেছিলেন মানিক । বলেছিলেন, আমাকে মেরে ফেলুন, কিন্তু আমাকে স্ত্রী-ছেলেকে রেহাই দিন!নিজেকেও নিরপরাধ বলে দাবি করেন তিনি ।