ছেলে বিশ্বজিৎকে শালিমার স্টেশনে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে তুলে দিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন হাওড়ার বাসিন্দা হেলারাম মালিক। কয়েকঘণ্টা পরেই আসে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার খবর৷ সঙ্গে সঙ্গে ফোন করেন ছেলেকে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে ছেলের ক্ষীণ কণ্ঠ শুনতে পেয়েছিলেন বাবা৷ তারপরেই অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে ছুটে যান দুর্ঘটনাস্থলে।
প্রথমে কোত্থাও ২৪ বছর বয়সী ছেলের খোঁজ পাচ্ছিলেন না হেলারাম। খুঁজতে খুঁজতে পৌঁছে যান বাহানাগা হাই স্কুলের অস্থায়ী মর্গে। অসংখ্য মৃতদেহের ভিড়ে দেখতে পান একটি দেহের ডান হাত নড়ছে! ছেলেকে চিনতে পেরে ছুটে যান বাবা।
প্রথমে কটক মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা হয় বিশ্বজিতের। তারপর বন্ডে সই করে ছেলে কলকাতায় নিয়ে এসেছেন হেলারাম৷ চিকিৎসা চলছে এসএসকেএম হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে আসা যুবক এখন স্থিতিশীল।