রাজ্যের ক্রেতাসুরক্ষা প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর (Srikanta Mahato) মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা চলছে । তাঁর দাবি, তৃণমূলে থাকা কয়েকজন নেতা-নেত্রী 'লুটেপুটে খাচ্ছেন' । তা সত্ত্বেও তাঁদের দল ‘সম্পদ’ বলে মনে করছেন । তাঁর সেই নেতা-নেত্রীর তালিকায় নাম রয়েছে নুসরত, জুন মালিয়ারও । প্রতিমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে কড়া জবাব দিলেন বসিরহাটের সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) । ক্ষুব্ধ মেদিনীপুরের বিধায়ক তথা অভিনেত্রী জুন মালিয়া (June Maliya) ।
নুসরত (Nurat reacts on Srikanata Mahato's Comment) এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, 'দলের কে সম্পদ, কে সম্পদ নয় সেটা মানুষ ঠিক করবেন। আমরা এখানে মানুষের সেবা করতে এসেছি। ওঁর মন্তব্য নিয়ে আমাদের কিছু যায় আসে না। বেশি কাজ আর কম কথা বলা উচিত।” ক্ষুব্ধ জুন বলেছেন, "উনি যে ভুল কথা বলেছেন, সেটা উনি জানেন। এই বক্তব্যের জন্য তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে কারণ দর্শাতে বলেছে দল। এর জন্য দলকে অনেক ধন্যবাদ। উনি একজন মন্ত্রীও বটে। আমি আশা করব এই ধরনের মন্তব্য উনি আর করবেন না।"
শ্রীকান্তের এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরই তাঁকে শোকজ করে দল । সেই নির্দেশ পাওয়ার পরেই সুর বদল করেন শ্রীকান্ত। ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি । তাঁর দাবি, আবেগের বসে তিনি এসব কথা বলেছেন ।
উল্লেখ্য,এক ভিডিওতে শ্রীকান্তকে বলতে শোনা যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ, সুব্রত বক্সীকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তাঁরা বুঝতে চাননি। খারাপ লোককেই তাঁরা ভাল লোক বলছেন। তা হলে আমরা বাঁচব কী করে? খারাপ লোককে তো খারাপ লোক বলতে হবে। আর ভাল লোককে ভাল লোক বলতে হবে। ভাল লোকের কথা শুনতে হবে। কিন্তু খারাপ লোকের কথা শুনছে। এখানে যদি দেবাদিদেব মহাদেব, উমা সরেন, সন্ধ্যা রায়, মুনমুন সেন, জুন মালিয়া, সায়নী, সায়ন্তিকা, মিমি, নুসরত, নেপাল সিংহ, সন্দীপ সিংহ, উত্তরা সিংহ যারা লুটে পুটে খাচ্ছে তারা যদি সম্পদ হয়, তা হলে তো দল করা যাবে না। তারা যদি দলের সম্পদ হয়, তারা যদি টাকা ডাকাতি করে শালবনির টাকায়, টাঁকশালে টাকা ছাপায়, তা হলে মন্ত্রী জেলে গেলে ভাল আছে। না হলে লোকে দোষারোপ করে বলবে ওই মন্ত্রীরা সকলে চোর। বলছে তো।’’