বীর বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র বসুকে 'দেশনায়ক' হিসাবে বন্দনা করেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে সুভাষচন্দ্রের আপসহীন সংগ্রাম তাঁকে করে তুলেছিল ভারতবাসীর প্রিয় 'নেতাজি'। 'কদম কদম বাড়ায়ে যা..' গাইতে গাইতে জীবনমৃত্যুকে প্রকৃত অর্থেই পায়ের ভৃত্যের পরিণত করে তাঁর নেতৃত্বে মুক্তিসংগ্রামে নেমেছিলেন আজাদ হিন্দ ফৌজের হাজার হাজার সাহসী দেশপ্রেমিক। সেই মানুষটি জন্মদিন আজ, ২৩ জানুয়ারি। ভারতবাসীর কাছে বড় আদরের, বড় প্রিয় একটি দিন- নেতাজি জয়ন্তী।
সুভাষচন্দ্র যেন এক রূপকথার নায়ক। দেশমাতৃকার শৃঙ্খল মোচনের স্বপ্ন সার্থক করতে তিনি চষে ফেলেছেন আসমুদ্র হিমাচল। তারপর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্রিটিশ পুলিশকে ধোঁকা দিয়ে দেশত্যাগ করে পৌঁছে গিয়েছেন জাপানে। সেখান থেকে জাপান৷ তৈরি করেছেন আজাদ হিন্দ ফৌজ। ব্রিটিশ সেনার সঙ্গে অকুতোভয় সংগ্রাম করেছেন ইম্ফলের রণাঙ্গনের। রচনা করেছে ত্যাগ, বীরত্ব, দেশপ্রেমের মহান ইতিহাস।
সুভাষচন্দ্রের শেষ পরিণতি আজও রহস্যাবৃত৷ কিন্তু ভবানীপুরের বসু পরিবারের বীর সন্তানের তো মৃত্যু নেই৷ ভারতবাসীর মনের মণিকোঠায় তিনি জ্বলজ্বল করছেন সহস্র সূর্যের দীপ্তি নিয়ে। ১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া দেশমাতৃকার এই মহান সন্তানকে তাঁর ১২৭ তম জন্মদিবসে শতকোটি প্রণাম।