চোখের নিমিষেই গঙ্গায় তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক বাড়ি। পুজোর আবহে ফের আছড়ে পড়ল ভাঙন। শেষ কয়েকদিন ধরেই ভাঙন শুরু হয়েছে মুর্শিদাবাদে। পঞ্চমীর সকালে ফের ভাঙন শুরু হয়। যার জেরে তলিয়ে গেল সামসেরগঞ্জের ওই এলাকার শেষ কয়েকটি বাড়িও।
আসলে সামসেরগঞ্জের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে গঙ্গা। আর পুজোর মুখে গঙ্গা ভাঙনের জেরেই নদী গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক বাড়ি। গ্রামে যে কয়েকটি বাড়ি বেঁচে ছিল, পঞ্চমীর সকাল থেকে সেগুলোও তলিয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া গঙ্গার তান্ডবে এখনও পর্যন্ত জলে তলিয়ে গিয়েছে প্রায় ৮টি বাড়ি। ওই বাড়িগুলো থেকে ঘরের প্রয়োজনীয় সামগ্রী পর্যন্ত বের করা সম্ভব হয়নি।
চোখের সামনে গঙ্গার গ্রাসে ইতিমধ্যেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে স্থানীয় লোহরপুর গ্রামের রাস্তা, বহু গাছপালা সহ বহু ফাঁকা জায়গাও। গঙ্গা ভাঙনের জেরে এবার সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে ওই গ্রাম।
উল্লেখ্য, শুধু এই গ্রামই নয়, এই মুহুর্তে প্রবল হারে গঙ্গা ভাঙন দেখা দিয়েছে সামসেরগঞ্জ ব্লকের শিকদার পুর, ধানঘড়া, শিবপুর, চাচন্ড, প্রতাপগঞ্জ সহ আরও একাধিক এলাকায়। ফলে ভাঙনের নদী কবলে এবার প্রায় নিশ্চিহ্ন হতে চলেছে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের গোটা ব্লক।
এই ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্পে ইতিমধ্যেই প্রায় ১০০কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অতএব স্বাভাবিকভাবে ওই এলাকার বাসিন্দাদের প্রশ্ন, ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্পে বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা গেল কোথায়?