পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর ঠান্ডা গলায় সুশান্তর প্রথম প্রশ্ন, ‘‘ও কি বেঁচে রয়েছে?’’
বহরমপুরে তরুণী সুতপা চৌধুরীর (Murshidabad murder) (Sushanta) হত্যায় অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরীকে ধরার পরে এই প্রশ্ন শুনে হতবাক পুলিশ। সুশান্তকে খুব সহজেই ধরে ফেলে পুলিশ। খবর ছিল, খুনি পলাতক। তৎক্ষণাৎ মালদহগামী সব গাড়ি জাতীয় সড়কে দাঁড় করিয়ে তল্লাশি শুরু করতেই খোঁজ মেলে সুশান্তর।
রবিবার রাত দশটার পর একটি ভ্যান সেই রাস্তায় আসে। পুলিশ ভ্যানের দরজা খুলে দেখার পর একজনকে দেখেই সন্দেহ হয়, কেবল এক জন একটা ত্রিপলের আড়ালে গা ঢাকা দিয়ে বসে। টর্চের আলোয় দেখা যায়, সেই ব্যক্তির জুতোয় রক্ত লেগে। ভ্যান থেকে নামিয়ে এনে মুখ তুলতেই হাতে থাকা ছবি দেখেই পুলিশ নিশ্চিত হয় এই সেই আততায়ী। খুনের সময় রক্তলাগা লাল গেঞ্জিটা বদলে অন্য জামা পরেছিল সে। পুলিশের দাবি, কিছু ক্ষণের মধ্যেই নির্বিকার ভাবেই সুশান্তও স্বীকার করে নেয়, সে-ই খুন করেছে। তার পরই পুলিশের কাছে জানতে চায় সুতপা বেঁচে রয়েছেন কি না।
মেধাবী থেকে হিংস্র প্রেমিক, সুতপা খুনে সশান্তর ১০ দিন পুলিশ হেফাজত
রাতভর দফায় দফায় ধৃত সুশান্তকে জেরা করে বহরমপুর থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, জেরার মুখেও একই রকম বেপরোয়া সুশান্ত। চোখে মুখে অনুতাপের লেশ মাত্র নেই।