মাঙ্কিপক্স নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। দিল্লি ও কেরলে পরপর মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। যার ফলে প্রত্যেক জেলায় আগাম সার্কুলার জারি করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। এদিকে মাঙ্কিপক্সে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯ জন। দিল্লিতে ফের আক্রান্ত হয়েছেন এক ভিনদেশি মহিলা।
মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। দিল্লি প্রশাসন সূত্রে খবর, বুধবার দিল্লিতে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছে ৩১ বছরের এক বিদেশিনী। গত কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। তাঁর ত্বকে ব়্যাশ বেরোতেও দেখা যায়। বুধবার তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বর্তমানে ওই মহিলা দিল্লির লোকনায়ক জয়প্রকাশ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বুধবারই দিল্লিতে প্রথম মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
রাজ্যেও মাঙ্কিপক্স রুখতে আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নাগরিকদের সচেতন করতে পথে নামছে কলকাতা পুরসভাওয শহরে মাঙ্কিপক্স উপসর্গ আছে কিনা, তা খুঁজতে বাড়ি বাড়ি যাবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। নয়া ভাইরাসকে মোকাবিলা করতে চিকিৎসকদের নিয়ে কর্মশালার আয়োজনও করেছে স্বাস্থ্যভবন।পূর্ব ভারতে এখনও কোনও রাজ্যে ধরা পড়েনি মাঙ্কিপক্স। কিন্তু নয়া নির্দেশিকায় মাঙ্কিপক্স রুখতে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করেছে রাজ্যও।
রাজ্যের হাসপাতালগুলিকে সরকারের নির্দেশিকা
১. মাঙ্কিপক্সের উপসর্গগুলি নজরে রাখতে হবে
২. নতুন কেস রেকর্ড ফর্ম পূরণ করতে হবে
৩. রোগী সম্প্রতি কোথায় গিয়েছিল, তারিখ সহ লিখতে হবে।
৪. কোন এয়ারপোর্টে নেমেছে, সেটাও জানাতে হবে।
৫. কোন এলাকায় ঘুরতে গিয়েছিল, জানাতে হবে।
৬. উপসর্গ আছে, এমন কারও সঙ্গে মিশেছেন কিনা, জানতে হবে।
৭. কারও সঙ্গে শারীরিক বা যৌনসম্পর্ক হয়েছে কিনা, তাও জানতে হবে।
৮. কতদিন ধরে উপসর্গ আছে, তাও জানাতে হবে।
৯. রোগীর উপসর্গ কী, তার ছবিও পাঠাতে হবে।
১০. উপসর্গ সামনে এলেই জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক বা কলকাতা পুরসভার অফিসারকে জানাতে হবে।
১১ মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হলে, বিষয়টি জরুরিকালীন হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।