বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্না নাবালিকার। পুলিশ তুলে নিয়ে গেলে থানাতেই আত্মঘাতী ১৭ বছরের ওই তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ থানায়। ইতিমধ্যেই নাবালক ওই প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত নাবালিকার পরিবার।
পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত ওই নাবালিকার বাড়ি হেমতাবাদ এলাকায়। তার সঙ্গে প্রায় ২ বছর ধরে সম্পর্ক ছিল মাধবপুর সংলগ্ন কাশিডাঙা এলাকায় বাসিন্দা এক নাবালকের। আচমকাই প্রেমিককে বিয়ে করার জন্য তার বাড়ির সামনে ধর্নার বসে ওই নাবালিকা। খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ প্রেমিকের বাড়ির সামনে থেকে ওই নাবালিকাকে থানায় তুলে নিয়ে যায়।
থানায় কিচ্ছুক্ষণ বসে থাকার পর শৌচাগারে যেতে চায় মেয়েটি। বেশ কিছু ক্ষণ কেটে যাওয়ার পরও ফেরেনি ওই নাবালিকা। এরপর আচমকাই শব্দ হয় একটি। সেই শব্দ শুনে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীরা ভেতরে ঢুকে দেখেন গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে ওই নাবালিকা।
শৌচাগার থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করে হেমতাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। কিন্তু নাবালিকার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। সেখানে নিয়ে গেলে নাবালিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
ইতিমধ্যেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে নাবালিকার পরিবার। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আখতার বলেন, 'ঘটনার সমস্ত দিক বিবেচনা করে তদন্ত শুরু করা করেছে।'