Hunger Strike: ১০ দফা দাবি পূরণে চিকিৎসক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্য, আন্দোলনকারীদের সমর্থনদের জানাতে বার্তা সুকান্তর
১০ দফা দাবিত পূরণে আমরণ অনশন শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই পরিস্থিতিতে সোমবার চিকিৎসকদের সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ চিকিৎসকদের ১২টি সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি।
এদিকে ওই বৈঠক মুখ্যসচিব উপস্থিত থাকলেও স্বাস্থ্য সচিব উপস্থিত নেই। বৈঠক ঢোকার আগে প্রতিটি চিকিৎসক সংগঠনের সদস্যরা জানান, তাঁরা প্রত্যেকেই জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফা দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন। এই বিষয়ে IMA-র রাজ্য শাখার যুগ্ম সম্পাদক রঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের শারীরিক পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ১০ দফা দাবির বিষয়টি নিয়ে সদর্থক আলোচনা হবে বলে আশাবাদী তিনি।
একাধিক বৈঠক হলেও জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন থামছে না। কারণ তাঁদের বক্তব্য, যে ১০ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন চলছিল সেই দাবি না মেটা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
পাশাপাশি জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে কলকাতার একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে প্রতীকী কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকরা। মণিপাল হাসপাতাল, CMRI হাসপাতাল, পিয়ারলেস হাসপাতালের চিকিৎসকরা ইতিমধ্যে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন।
অনশন শুরু করার পর স্বাস্থ্যভবনে বৈঠকে ডেকেছিলেন মুখ্যসচিব। সেই বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তাররা গেলেও কোনও সমাধানসূত্র পাওয়া যায়নি। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, দাবিদাওয়া মেটানোর জন্য কোনও সদর্থক ভূমিকা নিচ্ছে না রাজ্য সরকার।
অন্যদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে এবার লাগল রাজনীতির রং। এমনটাই দাবি করছেন সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ পুজোর সময় মহা সমাবেশ করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এবং সেই সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য দলের সমর্থকদের বার্তা দিয়েছিল CPIM। নিজেদের ফেসবুকে ওই পোস্ট করেছিল।
অন্যদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানানোর জন্য BJP-র কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।