আক্ষরিক ভাবেই এবার তৃণমূল নেত্রীর বীরভূম সফর হতে চলেছে অনুব্রতহীন। কারণ, ৩০ জানুয়ারি মমতার এই সফরে অনুব্রতর কোনও ছবি ব্যবহার করা যাবে না। সূত্রের খবর, এই মর্মেই জেলার কাছে নির্দেশ গিয়েছে রাজ্যস্তর থেকে। এবং সেই নির্দেশই কোর কমিটির বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, আইনি জটিলতা এড়াতেই তৃণমূলের এই কৌশল। কারণ, গরুপাচার মামলায় জেলে রয়েছে বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি। তাই তৃণমূল নেত্রীর পঞ্চায়েতের প্রচারে যাতে এই আঁচ না আসে, সেই কারণেই এই কৌশল বলেই মনে করা হচ্ছে।
পঞ্চায়েত ভোটেও যে অনুব্রত মাঠে পাওয়া যাবে না, তা একপ্রকার নিশ্চিত ধরে নিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এই অবস্থায় অনুব্রতহীন বীরভূমে দলকে চাঙ্গা করতে কর্মীদের কাছে চ্যালেঞ্জ বলেই দাবি করেছেন জেলায় তৃণমূলের মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, হয়তো এই প্রথম বীরভূমে অনুব্রতহীন ভোটে লড়াই করতে হবে তাঁদের। আর এই পরিস্থিতিতে কর্মীদের কাছে চ্যালেঞ্জ ভাল ফল করার।
তবে রাজ্য নেতৃত্বের এই নির্দেশে খানিকটা অবাক কর্মীরা। কারণ, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে অনুব্রত মণ্ডল এখনও প্রিয়পাত্র। যাঁকে বাঘের সঙ্গে একসময় তুলনা করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম। জেলে থাকার পরেও কেষ্ট সম্পর্কে ইতিবাচক ছিল তৃণমূল নেত্রীর মনোভাব। তাহলে হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত ? বীরভূমের ইতি-উতি এই প্রশ্নও শোনা যাচ্ছে।