পূর্ত দফতরের বেশি খাঁই, তাদের দিয়ে কাজ করানোর কোনও দরকার নেই। মেদিনীপুর সফরের প্রথম দিনেই রাজ্যের পূর্ত দফতরের দিকে এ ভাবেই তোপ দাগলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মেদিনীপুর শহরে প্রশাসনিক বৈঠকে একটি কমউনিটি হল তৈরির খরচ প্রকাশ্যে আসে। আর তাতেই পূর্ত দফতরের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এখানেই শেষ নয়। তিনি আরও বলেন, ‘‘পিডব্লিউডি একটু বেশি টাকা ধরে। ওদের কাজ দেবে না। পিডব্লিউডি-র এত খাঁই কেন? কোনও কিছু করতে চায় না। করতে গেলেও এমন বাজেট ধরবে যে, বলার না। প্রথমে পাঁচ টাকা ধরবে। তারপর এক বছর পর রিকাস্ট করে বলবে ১৫ টাকা। এই অভ্যাসটা বন্ধ করো।’’
এক আধিকারিক মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন বিস্তারিত প্রকল্প-রিপোর্ট অনেকদিন আগেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। শুনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ডিপিআর করেও আটকে গিয়েছে? কত টাকা ধরা হয়েছে?’’ আধিকারিক জানান, ৩০-৪০ লক্ষ টাকা লাগবে। তারপর আরও অর্থ লাগবে বলেও জানান তিনি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সভায় জানিয়ে দেন, সব কাজ ছয় কোটির মধ্যেই শেষ করতে হবে।
একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, প্রয়োজনে হাওড়া ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট ও এইচআরবিসি-র ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়ে কাজ সম্পন্ন করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘পিডব্লিউডি-র খাঁই কত? আমি যেন কাজ করাই না! কালীঘাট মোড়ে অতবড় গেট করে দিয়েছি ৫০ লক্ষ টাকায়। এত টাকা তো লাগেনি।’’ তিনি নির্দেশ দেন, ‘‘ওই ডিপিআর কেটে ফেলে দাও। কী ডিপিআর তৈরি করেছে আমাকে দেখিও তো! এখন তো কত হালকার উপর কাজ হয়। কিন্তু এমন খরচ দেখাচ্ছে যেন, খোদাই করে কাজ হবে। কলকাতায় তো এত কিছুর নির্মাণ হয়, তাতে তো এত খরচ হয় না।’’