এ যেন এক অন্য দেবীপক্ষের সূচনা হয়ে গেল। মহালয়ার রাতে রাতদখল কর্মসূচি। আর মহালয়ার ভোরে বিভিন্ন জেলায় কাকভোরে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি মেয়েদের। সমাজের সব স্তরের মানুষই যোগ দিলেন এই কর্মসূচিতে। সিঁথি মোড়, রুবি, যাদবপুর এইট বি বাসস্ট্যান্ডে চলল রাতদখল। রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর সাড়ে ৪টে পর্যন্ত অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস চত্বরে রাত দখল কর্মসূচি করা হয়। বুধবার ভোরে শ্রীরামপুরের বটতলা থেকে প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিল শুরু হয়। শেষ হয় শ্রীরামপুরের তিন নম্বর ঘাটে। হুগলির বিভিন্ন এলাকায় একই ছবি ধরা পড়েছে। সোদপুরের ট্র্রাফিক মোড়েও চলে রাতদখল কর্মসূচি।
বুধবার মহালয়ার দিনও পূর্বঘোষিত কর্মসূচি আছে জুনিয়র ডাক্তারদের। কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করার কথা তাঁদের। ওই মিছিলে দেখা যাবে শহর ও শহরতলির বিভিন্ন সংগঠন ও নাগরিক সমাজের মানুষদেরও। মিছিল শেষে ধর্মতলায় একটি সভাও করার কথা আছে তাঁদের। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে শ্যামবাজারে তাঁদের আরও একটি কর্মসূচি আছে।
মহালয়ার আগে নতুন করে পূর্ণ কর্মবিরতি শুরু করেছে রাজ্যের ২৩টি মেডিকেল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারদের মঞ্চ। সরকারের কাছে ১০ দফা দাবি তুলে ধরেছেন তাঁরা। জানানো হয়েছে, দাবি পূরণে স্পষ্ট পদক্ষেপ না করা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। মঙ্গলবার বিকেলে কলেজে স্কোয়ার থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত মিছিল ছিল জুনিয়র ও সিনিয়র ডাক্তারদের। এই মিছিলে পা মেলায় নাগরিক সমাজও। যৌন কর্মী, রূপান্তরকামী, বিভিন্ন ফুটবল ক্লাবের সমর্থকরাও এদিনেই মিছিলে পা মেলান।