শান্তিনিকেতন মানেই রং-বেরংয়ের আবির। কৃষ্ণচূড়া-পলাশ-শিমুলের সমারোহে হাজার বাঙালির মিলনে রঙিন হয়ে ওঠে কবিগুরুর স্মৃতিধন্য এই শিক্ষাঙ্গন। তবে এবারের পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা। বিগত কিছু বছরের মতো এবার বিশ্বভারতী চত্বরে বসন্তোৎসবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। ফলে সোনাঝুরিতেই আলাদা করে মঞ্চ বেঁধে বসন্ত উৎসবে মাতলেন আশ্রমিক-স্থানীয় মানুষ এবং পর্যটকদের একাংশ। নাচে-গানে এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখলেন তাঁরা।
শান্তিনিকেতনের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসবের সূচনা হয় রবীন্দ্রনাথের ছোট ছেলে শমীন্দ্রনাথের হাত ধরে। ১৯০৭ সালে এর নাম ছিল ঋতুরঙ্গ উৎসব। প্রাথমিকভাবে বসন্তকালে এই উৎসব হত, নির্দিষ্ট কোনও দিন ধার্য ছিল না। পরে শুধুমাত্র বসন্ত-পূর্ণিমার দিনেই চালু হয় এই উৎসব। ১৯৩২ সাল থেকে শমী ঠাকুরের এই উৎসব ‘বসন্ত উৎসব’ নামেই পরিচিত হয়।