ফিরহাদ হাকিমের পর কুণাল ঘোষের নিশানায় রাজ্যের আরেক মন্ত্রী। ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে তাঁর বাগযুদ্ধের মাঝেই এবার আদালতে বিস্ফোরক কুণাল। সোমবার বিচারকের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন কুণাল।
সারদা মামলায় জেলবন্দি কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর রাতে প্রেসিডেন্সি জেলে বসে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। সেই মামলারই শুনানি ছিল সোমবার। আদালতের কাঠগড়ায় কান্নায় ভেঙে পড়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আইকোর মামলায় মঞ্চে যিনি বক্তৃতা করেছেন, তিনি আমায় পাগল বলেছিলেন’। তবে এখানেই থামেননি কুণাল। নাম না করেই তিনি বলেন, ‘তিনি মন্ত্রী হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, জেলে ঢোকানো দরকার’। আত্মহত্যার চেষ্টা মামলায় বিচারকের প্রশ্নের উত্তরে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন- Hanskhali Rape Case: হাঁসখালি কাণ্ডে ছাড়া হল তৃণমূল নেতার ভাগ্নেকে, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা
সাংসদ, বিধায়কদের বিশেষ কোর্টে সোমবার হাজিরা দেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘আমার দাঁতের চিকিৎসা করা হয়নি অথচ প্রভাবশালীদের উডবার্নে চিকিৎসা হয়’। পাশাপাশি প্রশ্ন তোলেন, ‘উডবার্ন কি হাসপাতাল, না কয়েদীদের আশ্রয়খানা? যাঁদের নাম সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে আছে, তাঁরা দল বদলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন !' উল্লেখ্য, এর আগে সারদা ও নারদা মামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেন তিনি।
আগেই কুণাল একহাত নেন ফিরহাদ হাকিমকে। ব্রাত্য বসুকে বাঁচিয়ে তিনি আক্রমণ করেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি জানান,'মাননীয় ববি হাকিম বলেছেন, কুণাল তো মন্ত্রিসভার কেউ নয়। দফতরে কী হচ্ছে তা জানা সম্ভব নয়। পার্থদার পাশে আছি। আমি ববিদার মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছি। আমি নিজেই বলেছি, আমি তো মন্ত্রিসভার কেউ নই। সরকারের কেউ নই। সেকারণেই তো বলছি দলের মুখপাত্র হিসাবে আমি রাজনৈতিক বক্তব্য বলতে পারি। আমি বলেছিলাম, যিনি শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন, তৃণমূলের মহাসচিব তাঁর পক্ষে এ ব্যাপারে গুছিয়ে বলা সম্ভব হবে। আমি কী দোষ করেছি?'