প্রায় দু মাসের মাথায় দাঁড়িয়েও বাংলায় চলছে আরজি করের ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। তার মধ্যেই এবার বিচারের দাবিতে ফুঁসছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি। পঞ্চমীর বেলায় যার প্রভাব পড়ল স্থানীয় গড়নকাঠি এলাকায়। গ্রামবাসীদের রোষের মুখে পড়লেন বারুইপুরের এসডিপিও। তাঁর গাড়ি ঘিরে ভাঙচুর করা হল। কোনও মতে প্রাণ হাতে নিয়ে এলাকায় থেকে বেরিয়ে যান তিনি। ফের এলাকায় ঢুকতে গেলে বাঁধা দেওয়া হয় জয়নগরের তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলকেও। এদিনও গ্রামবাসীরা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়।
গত শুক্রবার স্থানীয় মহিষমারি এলাকার একটি জলা থেকে উদ্ধার হয় নাবালিকার দেহ। পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় ধৃতকে গ্রেফতারির পর বারুইপুর পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত খুনের কথা স্বীকার করেছে। তবে, ধর্ষণ হয়েছে কীনা, তার কোনও প্রমাণ প্রাথমিক ভাবে পাওয়া যায়নি।
এই পরিস্থিতিতে এলাকায় শান্তি ফেরাতে এবং গ্রামবাসীদের বোঝাতে এদিন ফের সেখানে যায় পুলিশ। পুলিশের গাড়ি দেখে ক্ষেপে যান গ্রামবাসীরা। ঘিরে ধরা হয় এসডিপিও-র গাড়ি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশের উপর তাঁদের কোনও রাগ নেই। কিছু দুষ্কৃতী রয়েছে, যারা পুলিশের ঘেরাটোপে রয়েছে। গ্রামবাসীদের রাগ তাদের উপরেই। সেই ক্ষোভের বহিপ্রকাশ হিসাবেই এসডিপিও গাড়ি ভাঙচুর করেন গ্রামবাসীরা।
পরে জেলা পুলিশ জানিয়েছে, রাগে ক্ষোভে গাড়ির চাবি ছিনতাই করার চেষ্টা করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, একজন অসুস্থ মহিলা কনস্টেবলকে ভর্তি করাতে ওই গাড়িতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গড়ানকাঠির কাছে তাদের গাড়ি আসতে ঘিরে ধরে আক্রমণ করেন গ্রামবাসীরা। যদিও পরে পায়ে হেঁটে গ্রামের মধ্যে যান বারুইপুরের এসডিপিও।