দীর্ঘদিন ধরে কেএলও’র (KLO) সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন। বৃহস্পতিবার ভবানীভবনে আত্মসম্পর্ণ করলেন সেই কৈলাস কোচ ওরফে কেশব রায় ও তাঁর স্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ও উন্নয়নের ধারা দেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই জানালেন তিনি।
চেয়ারম্যান জীবন সিংয়ের পর কেএলও-র সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিল এই কৈলাস কোচ ওরফে কৈশব রায়। দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিল সে। রাজ্য়ের একাধিক নাশকতা মামলায় অভিযুক্ত কৈলাস। এমনকী, তাঁর সন্ধান দিতে পারলে আর্থিক পুরস্কার ঘোষণাও করেছিল পুলিস। সেই কৈলাস কোচ ওরফে কেশব অবশেষে আত্মসমপর্ণ করল।
আত্মসমর্পণকারী কেএলও-র শীর্ষ নেতাকে পাশে বসিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য বলেন, "এই বছরে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেএলও'র জন্য নতুন একটি পলিসি ঘোষণা করেছে। সেই পলিসি অনুযায়ী, যাঁরা আত্মসমর্পণ করবেন, তাঁদের উৎসাহিত করার জন্যই এই পদক্ষেপ। আমরা তাঁদের আহ্বান করছি, আপনারা ওই পথ ছেড়ে চলে আসুন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার আপনাদের জীবনের মূলস্রোতে ফিরে আসতে সাহায্য করবে"।
অপরদিকে, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কৈলাস কোচের প্রতিক্রিয়া, "বাংলার মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়ে দিয়ে আমি এখানে এসেছি। মুখ্যমন্ত্রী কামতাপুরিদের উন্নয়নের যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, সেই পদক্ষেপের ধারাকে অব্যাহত রেখে এবং তাঁর প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস রেখে আমি ও আমার স্ত্রী সাধারণ জীবনে ফিরে আসার লক্ষ্যে আত্মসমর্পণ করলাম"।
রাজ্য পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, কেএলও নেতা জীবন সিংহের পরেই দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতা হলেন কৈলাস। প্রসঙ্গত কেএলও শীর্ষনেতা জীবন সিংহ দীর্ঘ দিন ধরে মায়নমারের জঙ্গলে আত্মগোপন করে রয়েছেন। এক সময় কোচবিহার এবং অসমের একাংশ ভেঙে আলাদা কামতাপুর বা গ্রেটার কোচবিহার রাজ্য গড়ার দাবিতে জঙ্গি আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন জীবন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে টম অধিকারীর মতো তাঁর বহু ঘনিষ্ঠই অসম এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়েন জীবন। মায়নমারের জঙ্গল থেকেই ভিডিয়ো-বার্তায় আলাদা রাজ্যের দাবি জানাতে থাকেন তিনি।