তখন গভীর রাত । ঘড়িতে রাত তখন ৩টে ১৬ । দীর্ঘ পথ পেরিয়ে, একটা বিভীষিকাময় যাত্রার সমাপ্তি ঘটিয়ে শিয়ালদহ স্টেশনে প্রবেশ করল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস । স্টেশনে তখন প্রিয়জনের অপেক্ষায় তাঁদের পরিবার । ট্রেন থামল, নেমে এলেন যাত্রীরা । চোখে মুখে তখনও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট । অনেকের চোখে জল । স্টেশনে পৌঁছতেই যাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় খাবার ও জল । রাজ্য প্রশাসনের তৎপরতায় বাড়ি ফেরেন তাঁরা । অন্যদিকে, দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্র্যাকেও রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে ।
সোমবার রাতেই দুর্ঘটনা গ্রস্ত ট্র্যাকে ট্রেন সার্ভিস চালু করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ । সর্বপ্রথম একটি মাল গাড়ি চালিয়ে পরীক্ষা করা হয় । তারপর থেকে পরিষেবা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ।
রাত তিনটের সময় শিয়ালদহ স্টেশনে যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। যাত্রীরা ট্রেন থেকে নামার পর তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন ফিরহাদ । কোনও যাত্রীর শারীরিক কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না সে বিষয়েও খোঁজ নেন তিনি ।
সোমবার সকালে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল শিয়ালদহমুখী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। জলপাইগুড়ির রাঙাপানির কাছে একই লাইনে এসে এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে একটি মালগাড়ি। ঘটনায় রাত পর্যন্ত আট জনের মৃত্যুর কথা সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে। ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন মালগাড়ির চালক ও সহ চালক।