যশোরেশ্বরী কালী মন্দির। বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামের মন্দির। হিন্দু পুরাণ বলে, সতীর হাতের তালু পড়েছিল এইখানে। অর্থাৎ ৫১ পীঠের এক পীঠ।
কথিত আছে, এই মন্দির সংস্কার করেছিলেন লক্ষ্মণ সেন ও রাজা প্রতাপাদিত্য। মখমলে আবৃত আবক্ষ মূর্তি মায়ের।
কালী পুজোয় এখনও ছাগ বলির চল রয়েছে। পুজোর সময়ে সমাগম ঘটে হাজার হাজার ভক্তের। শুধু হিন্দুরা নন, এখানে মানত করতে আসেন ওপার বাংলার অগণিত মুসলমান ভক্তরাও।
মন্দিরকে নিয়ে নানা সময়ে রচিত হয়েছে নানা ইতিহাস। শোনা যায়, অম্বররাজ মানসিংহ এক পুরোহিতের সাহায্যে মায়ের বিগ্রহ চুরি করে নিয়ে গিয়ে রাজস্থানের অম্বর দুর্গে তা প্রতিষ্ঠা করেন। কয়েক দিনের মধ্যেই মায়ের রুষ্ট মূর্তি দেখে প্রতিমাকে সূক্ষ্মবতী নদীর তীরে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন তিনি। এ দিকে, যশোরেশ্বরী মন্দিরে মাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়।