RG কর কাণ্ডের তদন্তে অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে CGO কমপ্লেক্সে যাবেন জুনিয়র ডাক্তারদের একটি প্রতিনিধিদল। তারপরেই কর্মবিরতি নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে তারা।
বৃহস্পতিবার জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার বার্তা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও একাধিক হাসপাতালে কর্মবিরতি চলছে। এই পরিস্থিতিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, CBI-এর তদন্তের অগ্রগতি দেখে তবেই কর্মবিরতি তোলার সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসকরা।
এদিকে বৃহস্পতিবারই ফের সাংবাদিক বৈঠক করে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান করেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। তিনি জানান, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে অনেকেই চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এমনকি ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদেরও ফিরে যেতে হচ্ছে।
অন্যদিকে RG কর কাণ্ডের পর থেকেই একপ্রকার ফাঁকা হাসপাতালের হস্টেল। ওই হস্টেলে মোট ১৬০ জন মহিলা জুনিয়র ডাক্তার থাকেন। কিন্তু হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর থেকে সেখানে মাত্র ১৭ জন জুনিয়র ডাক্তার রয়েছেন।
জুনিয়র ডাক্তারদের অনেকেই জানিয়েছেন, নার্সিং হস্টেল ছাড়া RG কর হাসপাতালের অধিকাংশ হস্টেলই ফাঁকা। ৯ অগাস্ট থেকে ধাপে ধাপে সকলেই হস্টেল ছাড়ছেন।
আরজি কর হাসপাতাল চত্বরে মোট ৫টি হস্টেল রয়েছে। তারমধ্যে পড়ুয়া ও চিকিৎসকদের জন্য আলাদা হস্টেল রয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন মাঝে ফিরে এলেও হাসপাতালে হামলার ঘটনার পর তাঁরা ফের বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। তাঁদের দাবি, অনেকেই সেখানে নিরাপদ বোধ করছেন না। আর সেই কারণে হস্টেল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী অপরাজিতা সিং জানিয়েছিলেন, ৭০০ আবাসিক ডাক্তারের মধ্যে হাসপাতালে বর্তমানে রয়েছেন মাত্র ৩০-৪০ জন মহিলা ডাক্তার এবং ৬০-৭০ জন পুরুষ ডাক্তার।