ডাক্তার, রোগী, স্বাস্থ্যকর্মী সবাই একই পক্ষ। বিপক্ষ যদি কেউ থাকে সেটা রাজ্য সরকার। মহালয়ার দিন মহাসমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই মন্তব্য করলেন জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার।
কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল শুরু হয়ে শেষ হয় ধর্মতলায়। তারপর সেখানে সমাবেশ হয়। বক্তব্য রাখেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে কয়েকজন। তার মধ্যে ছিলেন কিঞ্জল নন্দ, দেবাশিস হালদার প্রমূখ।
জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার বলেন, "রোগীর মৃত্যু হলে তাঁদের পরিবারকে যতটা দুঃখ দেয়, এক জন ডাক্তারকে ততটাই ও স্বাস্থ্যকর্মীকেও ততটাই দুঃখ দেয়। আমরা কেন আবার কর্মবিরতিতে ফিরতে বাধ্য হলাম জানেন? আমরা সদিচ্ছা দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন সেই সদিচ্ছা দেখাচ্ছে না রাজ্য সরকার।" এই প্রসঙ্গেই তাঁর বক্তব্য, "ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মীরা এক পক্ষ। রোগীরা অন্য পক্ষ। কিন্তু আমরা বলতে চাই, ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মী-রোগী-পরিজন সবাই এক পক্ষে। উলটো পক্ষে যদি কেউ থাকে, সেটি রাজ্য সরকার।”
পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের গণশত্রু বলে তকমা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাঁর সাফ জবাব, "আমরা গণশত্রু নই। কর্মবিরতি তুলতে চাই। কিন্তু দাবিগুলি না মান হলে কোন ভরসায় তুলব?"
শুধু রাজ্য সরকার নয়, কেন্দ্রীয় সরকার এবং CBI এর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। শীর্ষ আদালতে CBI এর ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। তাঁদের আশঙ্কা, আন্দোলন জিইয়ে রাখতে না পারলে সেটিং হয়ে যেতে পারে। এমনকি প্রয়োজনে দিল্লি যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
আর জি কর হাসপাতালে নিহত চিকিৎসকের সুবিচার সহ থ্রেট কালচার বন্ধের দাবিতে মহা মিছিলের আয়োজন করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মিছিল শেষে মহা সমাবেশ হয় ধর্মতলায়।
মঙ্গলবার থেকে ফের পূর্ণ কর্মবিরতি শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মোট ১০ দফা দাবিতে তাঁরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। এরপর আজ অর্থাৎ মহালয়ার দিন মহা সমাবেশ হয়।