আরজি কর-কাণ্ডে চতুর্থ শুনানি শেষ হয়েছে কিছু ক্ষণ আগে। শুনানির ঠিক আগের দিনই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে আলোচনায় বসে ছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সুপ্রিম কোর্টে লাইভ স্ট্রিমিং দেখার পর কী বলছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা?
স্বাস্থ্য ভবনের সামনে গত সপ্তাহ থেকে অবস্থান করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মঙ্গলবারের শুনানি মোটের ওপর সন্তোষজনক মনে হয়েছে ডাক্তারদের। আইনজীবী তাঁদের সমস্যাগুলো যথাযথভাবে আদালতে তুলে ধরেছেন মত ডাক্তারদের। জিবি করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবেন আন্দোলনরত ডাক্তাররা। মহিলা জুনিয়র ডাক্তারদের মত, তাঁরাও কর্মক্ষেত্রে সমান সুযোগের ভাগীদার।
তবে শুনানি নিয়ে আন্দোলনের অন্যতম মুখ অনিকেত মাহাতো আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আরও সুস্পষ্ট আলোচনার প্রয়োজন ছিল। তবে পাশাপাশি অনিকেতের মত, নিরাপত্তা প্রসঙ্গে ডাক্তারের দাবিগুলিকে মান্যতা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আন্দোলনরত ডাক্তারদের অভিযোগ আরজি করে এখনও পর্যন্ত মহিলা চিকিৎসকদের জন্য কোনও অন-কল রুম বা রেস্ট রুম তৈরি হয়নি। বহু জায়গায় সিসিটিভিও বসেনি খনও।
তবে আর এক আন্দোলনকারী অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায় বলছেন, আরজি করের ঘটনা আসলে একটি প্রাতিষ্ঠানিক খুন। কোন প্রভাবশালী ব্যক্তির মদতে অপরাধী এমন সাহস পেলেন, এই সব প্রশ্নগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে না দেখলে কর্মবিরতি তুলে কাজে ফেরা যাবে না।
মঙ্গলবার আরজি কর মামলায় শীর্ষ আদালতে জুনিয়র ডাক্তারদের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ। সিবিআইয়ের তরফে ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। রাজ্য সরকারের তরফে ছিলেন কপিল সিব্বল। এদিন তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টের কাছে জমা দিয়েছে সিবিআই। জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জানিয়েছেন কর্মবিরতি তোলার ব্যাপারে জেনারেল বডি মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেবেন জুনিয়র ডাক্তারেরা।
জুনিয়র ডাক্তারদের পাঁচ দফা দাবিতে চলা আন্দোলনের ৩৮ দিনের মাথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হয়। আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে পুলিশ-প্রশাসনে বেশ কিছু বদল এসেছে মঙ্গলবার বিকেলেই। তবে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া সমস্ত আশ্বাস কার্যকর হলে তবেই আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন ডাক্তারেরা।