আজ পঞ্চমী । কলকাতা, জেলায় জেলায় একদিকে যেমন উৎসবের আমেজ, তখন আরেকদিকে চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশন । এদিকে, পূর্ব ঘোষণা মতোই মঙ্গলবার সকাল থেকে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে বসেছেন আর জি করের জুনিয়র ডাক্তাররা । শুধুমাত্র ডাক্তাররা নন, অনশনে যোগ দিয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরাও । এদিন সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে প্রতীকী অনশন । একইসঙ্গে এদিন, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টের সময় কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলার অনশনমঞ্চ পর্যন্ত মহামিছিল-এর আয়োজন করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা ।
মঙ্গলবার সকালে আর জি কর হাসপাতালে প্রতীকী অনশনে বসেন ৮ জুনিয়র ডাক্তার । সাংবাদিক বৈঠক করে মেডিক্যাল কলেজগুলির অনিয়ম নিয়ে সরব হন । রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগড়ে দেন তাঁরা । এদিন আর জি করের পাশাপাশি প্রতীকী অনশনে বসেছেন রাজ্যের অন্য মেডিক্যাল কলেজও । বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের অনশন মঞ্চে মোট ১৬ জন জুনিয়ার চিকিৎসক অনশন শুরু করেছেন । তাঁদের দাবি, সরকারের সর্বোচ্চ স্তর থেকে দাবি পূরণের বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও দাবি পূরণের কোনও সম্ভাবনা দেখা না দেওয়াতেই অনশনের পথেই যেতে তাঁরা বাধ্য হয়েছেন ।
এদিকে, সোমবারই সাংবাদিক বৈঠক থেকে আন্দোলনকারীদের অনশন আন্দোলন প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ । তিনি বলেন, হাসপাতালের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ৯০ শতাংশ দাবি আগামী তিনদিনের মধ্যে পূরণ করা হবে । ৪৫ শতাংশের বেশি সিসিটিভির কাজ হয়ে গেছে। এছাড়া ওয়াশরুম সংক্রান্ত ৬৫ শতাংশ কাজ এগিয়ে গেছে। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ হয়ে যাবে।
এদিকে, ধর্মতলায় আমরণ অনশন শুরু করেছেন ৭ জুনিয়র ডাক্তার । চিকিৎসক খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কড়া শাস্তির দাবি সহ মোট ১০ দফা দাবি রয়েছে তাঁদের। আর সেই দাবি পূরণেই চলছে আমরণ অনশন। ইতিমধ্যেই তিনদিন পেরিয়েছে তাঁদের অনশন কর্মসূচি । বেশ কয়েকজন অনশনকারীর ডাক্তারের শারীরিক পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে ।