প্রথমে শো-কজ। তার উত্তর না মেলায় বিজেপি (Bjp) থেকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত (Suspend) করা হল দুই নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার (Jaypraksh Majumder) ও রীতেশ তিওয়ারিকে (Ritesh Tiwari)। এই দুই নেতাকে সাময়িক বরখাস্ত করে দলের বাকি বিক্ষুব্ধদেরও কড়া বার্তা দিল বিজেপি। বিজেপি সূত্রে খবর, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের (Disciplinary) তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বরখাস্তই থাকবেন জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারি। যদিও এই ব্যাপারে বরখাস্ত দুই নেতা কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। রাজনৈতিক মহলের দাবি, দলের অন্দরে যখন ডামাডোল চলছে, বিজেপির দুই নেতাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কড়া বার্তারই সামিল।
গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্য বিজেপিতে ডামাডোল বেড়েই চলছিল। বিশেষ করে, ‘বিক্ষুব্ধ’ বিজেপি নেতাদের সঙ্গে মেলামেশা, সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের (Santanu Thakur) আহ্বানে বৈঠকে অংশ নেওয়ায় জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তিওয়ারি-সহ একাধিক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ উঠছিল। এ বিষয়ে দুই নেতার কাছে জবাবদিহি চাওয়া হতে পারে বলে জল্পনা চলছিল। তা সত্যি হয় রবিবার বিকেলে। জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারিকে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে শোকজ করে রাজ্য বিজেপি। শোকজের চিঠি পাওয়ার পর দলের শীর্ষনেতাদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন রীতেশ তিওয়ারি।
এর কয়েক ঘণ্টা ব্যবধানে ঠাকুরবাড়িতে পৌঁছন জয়প্রকাশ মজুমদার। সেখানে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে। জানা যায়, সাংসদ পাশে থাকার আশ্বাসও দেন জয়প্রকাশকে। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এবার জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ প্রসঙ্গে আরও কড়া পদক্ষেপ করল বিজেপি। এদিন চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে ওঠা দলবিরোধী কাজের তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হল ওই দুই নেতাকে।
রবিবার দুই নেতার শোকজের চিঠিতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছিল, দুই নেতার সাম্প্রতিক কার্যকলাপ দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের শামিল। কেন তাঁদের এই কাজ, তা লিখিত আকারে জানাতে বলা হয়। যদিও তাঁদের উত্তর দেওয়ার নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। জয়প্রকাশ ও রীতেশের দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের প্রসঙ্গে সোমবার বারাকপুরের সাংসদ তথা বিজেপির দাপুটে নেতা অর্জুন সিং মন্তব্য করেন, কারও যদি কোনও অভিযোগ থাকে তাহলে তা দলের অভ্যন্তরেই বলা উচিত। প্রায় একই সুর শোনা গিয়েছিল বিজেপির সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলাতেও।