আরজি কর আবহে রাজ্যে ফের এক নাবালিকা পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। আর তার জেরে শনিবার অগ্নিগর্ভ হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর। এলাকায় ঢুকতে গিয়ে গ্রামবাসীদের তাড়া খেলেন কুলতলির বিধায়ক গণেশচন্দ্র মণ্ডল। রাস্তার উপরেই বচসায় জড়িয়ে পড়লেন জয়নগরের তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল এবং বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। এদিকে পদ্মহাটের হাসপাতালে ঢুকতে গিয়ে পুলিশি বাঁধার মুখে বাম যুবনেত্রী মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়। হাসপাতালে যাওয়ার আগেই আটকে দেওয়ার অভিযোগ বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়কেও।
জয়নগরের ঘটনাতেও পুলিশের বিরুদ্ধে উঠল দায় ঠেলাঠেলির অভিযোগ। আর এখানেই প্রশ্ন তুললেন বিজেপির অগ্নিমিত্রা। পুলিশ কেন নিষ্ক্রয় ? মুখোমুখি হয়ে অগ্নিমিত্রার এই প্রশ্নবাণ তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলের দিকে। আসানসোল দক্ষিণের বিধায়কের এই প্রশ্নের মধ্যেই ভিড়ের ভিতর থেকে ভেসে এল তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে গো-ব্যাক স্লোগান।
এই অবস্থায় পাল্টা বিজেপিকেই আক্রমণ করেছেন প্রতিমা। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, এটাই বিজেপির সংস্কৃতি। কারণ তারা মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করতেই চায়। প্রতিমা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার কড়া শাস্তি হবে বলেও দাবি করেছেন জয়নগরের তৃণমূল সাংসদ।
শনিবার সকালেই গ্রেফতার করা হয়েছে জয়নগরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযুক্তকে। বারুইপুরের পুলিশ জেলার সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি জানিয়েছেন, জেরার পড়ুয়াকে খুনের কথা কবুল করছে অভিযুক্ত মোস্তাকিন সর্দার। তবে ধর্ষণ হয়েছে কীনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের জন্য নাবলিকার দেহ কলকাতার কাঁটাপুকুরে পাঠানো হবে।
স্থানীয় মহিষমারি এলাকার একটি জলা থেকে শুক্রবার রাতে উদ্ধার করা হয় নাবালিকা দেহ। তাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। যার জেরে শনিবার সকাল থেকে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে মহিষমারিতে। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলের গ্রামবাসীরা। তাদের অভিযোগ, দুই থানার মধ্যে গড়িমসির জেরে এই ঘটনা ঘটে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় স্থানীয় ফাঁড়ি। গ্রামবাসীদের হঠাতে কাদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়।