দলের একজনই বিধায়ক। তিনিও জেলে। তাঁর জামিনের পরবর্তী শুনানি ১ ফেব্রুয়ারি। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে চলবে ? তা ঠিক করতেই সোমবার হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় জরুরি বৈঠকে আইএসএফ। গত শনিবার ধর্মতলা-কাণ্ডের জেরে বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি-সহ ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে নৌশাদকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বাকি ১৭ জনকে পাঠানো হয়েছে জুভেনাইল জাস্টিসে। আইএসএফের এক নেতার কথায়, আদালতের নির্দেশ তাঁদের বেশ ধাক্কা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কৌশল খুঁজতেই এই বৈঠক। উল্টোদিকে গত কয়েকদিনের উত্তেজনার পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় আপাতত শান্ত বলেই দাবি তৃণমূল নেতা আরাবুল হোসেনের।
মূলত গত শুক্রবার থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে আইএসএফ ও তৃণমূলের সংঘর্ষে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। যার প্রভাব পড়েছিল শনিবার হাতিশাল এবং ধর্মতলায়। হাতিশালে তৃণমূলের সামনে প্রতিরোধ হওয়ার পরেই ধর্মতলায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন নৌশাদ সিদ্দিকিরা। যা কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল। সোমবার আইএসএফ নেতা রায়নুলের দাবি, নৌশাদকে সামনে রেখেই আগামী দিনের কৌশল ঠিক করা হবে।
এদিকে ২৫ জানুয়ারি ভাঙড়ে প্রতিবাদ মিছিল বার করতে চলেছে তৃণমূল। আরাবুলের দাবি, ভাঙড়ের বিধায়কের উপর আস্থা হারিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আইএসএফ কর্মীদের ঘরছাড়া হওয়ার ঘটনা মেনে নিয়েছেন আরাবুল। তাঁর দাবি, আইএসএফের ওই নেতাকর্মীরা ভয় পেয়ে পালিয়ে গিয়েছেন।