২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর থেকেই তৃণমূল দাবি করে এসেছে তাঁদের আমলেই রাজ্যের কৃষকদের হাল ফিরেছে। বিভিন্ন সময় বাংলার কৃষকদের (Famers of Bengal) আয় বৃদ্ধি নিয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকেই নিজের সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করতে দেখা গিয়েছে। এবার তাঁর ওই দাবিকেই মান্যতা দিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব এগ্রিকালচারাল রিসার্চ বা আইসিএআর (ICAR)। শনিবার প্রকাশিত আইসিএআরের রিপোর্টে (ICAR Report) সাফ বলা হয়েছে ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২০-২১ সালে বাংলার কৃষকদের আয় ২০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই রিপোর্ট সামনে আসতেই উচ্ছ্বাসে ভেসেছে বাংলার প্রশাসনিক মহল।
তৃণমূলের দাবি, ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সমস্ত কৃষকমুখী প্রকল্প চালু করেছেন তার হাত ধরেই এত বড় সাফল্যের মুখ দেখছে বাংলা। বড় অবদান রয়েছে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের। এই প্রকল্পের হাত ধরে রাজ্যের প্রায় ৭০ লক্ষের বেশি কৃষককে বছরে দুবার আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। ২০১৯ সাল থেকে একইসঙ্গে ৮৬ লক্ষের বেশি কৃষককে দেওয়া হয়েছে বার্ধক্য ভাতা। এছড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ আরও একাধিক সময়ে চাষাবাদে ক্ষতির মুখ দেখলেও একাধিক সময়ে বড় ঋণ মকুবের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলার সরকার। এমনকী দেওয়া হয় ক্ষতিপূরণও। ফলে প্রাথমিকভাবে ক্ষতির মুখ দেখলেও তার ধাক্কা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি বলে মত ঘাসফুল শিবিরের। যার জেরে কোভিডের সময়েও চরম দুর্দশার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে বাংলার কৃষক পরিবারগুলি।
আরও পড়ুন- Kolkata Model Death : শহরে ফের উঠতি মডেলের রহস্যমৃত্যু, বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ
প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারের তরফে যে রিপোর্ট সামনে আনা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে বাংলা ছাড়াও উত্তরাখণ্ড, ছত্তিসগড় ও পুদুচেরিতেও কৃষকদের আয় প্রায় সমান বেড়েছে। গত পাঁচ বছরে এই রাজ্যগুলিতে কৃষকদের আয় ২০০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে শুধু ধান-আলুর পাশাপাশি বাংলার কৃষকদের আয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পশুপালনের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে আইসিএআরের রিপোর্টে বলা হয়েছে।