তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে ডাক্তারদের সংগঠন আইএমএ । তৃণমূল বিধায়েকর বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের অভিযোগ তুলে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে একটি চিঠি জমা দিয়েছে IMA । ওই চিঠিতে চিকিৎসকদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভরতপুরের বিধায়কের বিরুদ্ধে । একইসঙ্গে ডাক্তারদের নিরাপত্তার বিষয়টিও উথ্থাপন করা হয়েছে । যদিও, বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ হুমায়ুন কবীর । পাল্টা হুঁশিয়ারির সুরেই তিনি জানান, অপরাধ না করে যদি শাস্তি পান, তবে ফিরে এসে অপরাধ করতে কুণ্ঠাবোধ করবেন না । উল্লেখ্য, জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনকে কখনও ‘চ্যাংড়ামো’, কখনও ষড়যন্ত্র বলেছেন বিধায়ক । এমনকী প্রকাশ্যে হুমিক দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে ।
IMA-র তরফে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিকে চিঠি দিয়েছেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক রঞ্জন ভট্টাচার্য । তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের এক বিধায়ক বারবার চিকিৎসকদের হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, মারধরের হুমকি দিচ্ছেন । এমনকী মানুষকেও হাতে আইন তুলে নেওয়ার জন্য উসকেছেন । আরজি কর-কাণ্ডের মামলার শুনানিতে ডাক্তারদের নিরাপত্তার বিষয়টিও বারবার উথ্থাপিত হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে । প্রধান বিচারপতিও ডাক্তারদের নিরাপত্তায় জোর দিতে বলেছেন । সেই প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে চিঠি দেওয়া হয়েছে । উল্লেখ্য, সোমবারই সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর মামলার শুনানি আছে । সেখানে হুমায়ুনের বিষয়টি শীর্ষ আদালতে উঠতে পারে ।
হুমায়ুনের মন্তব্য, "কয়েক জন ডাক্তার ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে এ সব করছেন। ওঁদের গতিবিধির উপর লক্ষ্য রাখছি। কোনটা আইনসঙ্গত আর কোনটা বেআইনি খুব ভাল করে জানি। কারও জন্য যদি আমাকে জেলে যেতে হয়, তবে জামিন পাওয়ার পর ৫০ হাজার লোক নিয়ে জমায়েত করব। "
উল্লেখ্য এর আগে, জুনিয়র ডাক্তারদের হুঁশিয়ারি দেওয়ার জন্য ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের অনুরোধ জানিয়ে মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়েছিল আইএমএ । আইএমএর বহরমপুর শাখার পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়। পাশাপাশি পুলিশ সুপারের কাছেও অভিযোগ জমা করেছিলেন চিকিৎসকেরা।
জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে, তাঁদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে বারবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন হুমায়ুন কবীর । কখনও প্রশ্ন তোলেন, জনগণের মৃত্যু হলে, চিকিৎসকেরা সুরক্ষিত থাকবেন কেন? তিনি বলেছিলেন, ‘‘পাবলিক মরছে, তা হলে ডাক্তারেরা সুরক্ষিত থাকবেন কেন?’’ হুমায়ুন কবীর আরও বলেছিলেন," ওদের যেমন আন্দোলন করার অধিকার আছে, বাংলায় তৃণমূলেরও ৩ কোটি ভোটার আছে। ১০ হাজার মাঠে নামলে কী হবে, তখন বুঝবে...।"