আচমকাই বিছানার উপর উঠে এল চার জন। ঘুম ভেঙে গেল সকলের। চিৎকার করতে গেলেই লোহার রড দিয়ে মারধর। তারপর সাত বছরের শিশুর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে সব লুঠপাঠ করে চম্পট দিল দুষ্কৃতি দল। এমনই ফিল্মি কায়দায় দুঃসাহসিক ডাকাতি হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মোট আট থেকে ১০ জনের সশস্ত্র ডাকাতরা ভোররাতে হানা দেয় ব্যবসায়ী সুজিত কাঁড়ারের বাড়িতে। বাড়িতে ডাকাত পড়েছে বুঝতে পেরে প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন ওই ব্যবসায়ী। কিন্তু ডাকাতদের আক্রমণে তিনি ঘায়েল হন। মাথায় লোহার রড দিয়ে মারা হয়। এরপর ব্যবসায়ীর ছেলে সাত বছরের সৌমাল্যের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে সোনা, গয়না, টাকা-পয়সা সব হাতাতে শুরু করে। এমনকি গৃহকর্ত্রীর পরনের গয়নাও খুলে নেয় তারা। প্রায় ১ ঘন্টা ঘরে লুঠপাঠ চালায়।
ব্যবসায়ীর অভিযোগ, টাকা এবং গয়না মিলিয়ে প্রায় ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার সামগ্রী নিয়ে পালিয়েছে ওই দুষ্কৃতি দল।এমনকি চলে যাওয়ার সময় বাড়ির সকলের হাত পা বেঁধে দেয় তারা। পরে দাঁত দিয়ে দড়ি কেটে প্রাণে বাঁচার জন্য চিৎকার করেন ওই ব্যবসায়ী। ডাকেন প্রতিবেশীদের।
প্রতিবেশীদের অভিযোগ, বার বার ফোন করার সত্বেও পুলিশ সেভাবে সহযোগিতা করেনি। পড়ে ১০০ নম্বরে ফোন করা হলে পুলিশ সুপারের অফিসের নম্বর দেওয়া হয়। এরপর সেই নম্বরে ফোন করলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।