হাসাপাতালে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় আহত যাত্রীদের ভিড় । কোথাও হচ্ছে ব্লাড টেস্ট,কোথাও আলট্রাসোনোগ্রাফি । হাসপাতাল জুড়ে চূড়ান্ত ব্যস্ততা । ঠিক সেইসময় ওই হাসপাতালের আরেক দিকে দেখা গেল অন্য ছবি । এক্স রে বিভাগে নাক ডেকে ঘুমোচ্ছেন এক কর্মী । আর তাঁকে জাগাতে কাল-ঘাম ছুটল রেল দুর্ঘটনায় আহতদের পরিজনদের। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা। ইতিমধ্যেই সেই ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল । যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এডিটরজি বাংলা । রোগী এবং পরিজনদের সঙ্গে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে ওই কর্মীর
বিরুদ্ধে ।
জানা গিয়েছে, ভিডিয়োটি ৩ জুনের। এদিন, ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ আহত রেলযাত্রী সুজন বাউড়ির পরিবারের লোকজন তাঁর ডিজিটাল এক্স-রে করানোর কাগজপত্র জমা দিতে যান সংশ্লিষ্ট ঘরে। সেখানে তখন একজন কর্মীই ছিলেন । ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তিনি বেঞ্জে টানটান হয়ে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছেন । অভিযোগ, বারবার ডাকাডাকির পর ঘুম ভাঙলেও তিনি উঠে বসেননি । বরং শুয়ে শুয়েই অত্যন্ত বিরক্তি দেখিয়ে নথিপত্র জমা নেন । রোগীর পরিজনদের সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে । জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনায় আহত রোগীর পরে ডিজিটাল এক্স-রে করা হয়েছিল । অভিযুক্ত কর্মীর যুক্তি, তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, তাই বিশ্রাম নিচ্ছিলেন ।
ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে অনেকেই বাঁকুড়ার বাসিন্দা ছিলেন । সেক্ষেত্রে আহতরা চিকিৎসার জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে আসতে পারে সেই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে আগে থেকেই মেডিক্যাল কলেজ জুড়ে জারি করা হয় চূড়ান্ত সতর্কতা । কিন্তু, তারপরেও কেন এমন গাফিলতির ছবি ধরা পড়ল, সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন । বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের সুপার সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ভিডিওটি তাঁরাও দেখেছেন । অভিযুক্ত কর্মীকে শোকজ নোটিস পাঠানো হয়েছে । তাঁকে তিনদিন সময় দেওয়া হয়েছে । যুক্তিযুক্ত কারণ না থাকলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে ।