একসময়ে বিনপুরের (Binpur) দাপুটে বাম (CPM) নেতা ছিলেন । রোগীর বেডের প্রয়োজন পড়লেই ডাক পড়ত তাঁর । কিন্তু,বর্তমানে সেই নেতার ঠাঁই হয় হাসপাতালের মেঝেতে । বেড না পেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের মেঝেতেই কাটাতে হল বিনপুরের প্রাক্তন বাম বিধায়ক দিবাকর হাঁসদাকে (Dibakar Hansda) । জানা গিয়েছে, প্রায় ২৪ ঘণ্টা মেঝেতে কাটানোর পর বেড পেয়েছেন ওই বাম নেতা ।
গলব্লাডারে অস্ত্রোপচারের জন্য রবিবার রাতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে তাঁকে ভর্তি করানো হয় । সেইসময় কোনও বেড নেই বলে জানানো হয় হাসপাতালের তরফে । অগত্যা মেঝেতেই প্লাস্টিকের চাদর পেতে সিপিএম নেতার চিকিৎসা শুরু হয় । তাঁর এক আত্মীয় জানিয়েছেন, ‘‘যখন ওঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ভর্তি করি তখন বলা হয়, বেড নেই । মেঝেতে জায়গা করে নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয় । অগত্যা বাইরে থেকে একটি প্লাস্টিকের চাদর কিনে আনা হয় । হাসপাতাল থেকেও কোনও চাদর বা গদি দেওয়া হয়নি ।" বিষয়টি দলীয় নেতৃত্বকে জানানো হয়েছিল । এর পর তাঁরা বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালে বেডের ব্যবস্থা করা হয় । সোমবার রাতে বেড পেয়েছেন দিবাকর ।
আরও পড়ুন, Maharasthra Political Crisis : মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সঙ্কট কাটাতে বিদ্রোহীদের আলোচনার বার্তা উদ্ধবের
প্রাক্তন ওই বাম বিধায়কের বক্তব্য, ‘‘২৬ তারিখে ভর্তি হওয়ার পর তেমন ভাবে কোনও বেড পাইনি । তখন আমি ফেসবুকে লেখালিখি করেছিলাম। তার পর জানাজানি হওয়ার পর গতকাল বেড পাই। আমি নিজে কি বলব, আমি প্রাক্তন বিধায়ক?’’ অন্যদিকে, মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, ‘‘বিষয়টি জানা ছিল না । উনি পরিচয় দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা করে দেওয়া হত । তাছাড়া, হাসপাতালে কোনও ভিআইপি বেড বলে কিছু হয় না ।" প্রসঙ্গত, ২০১১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত দিবাকর বিনপুরের বিধায়ক ছিলেন দিবাকরবাবু ।
দিবাকরের এই পরিস্থিতি দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বাম নেতা-কর্মীরা । একইসঙ্গে হাসপাতাল পরিকাঠামো নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন । তাঁদের অভিযোগ, "যত দিন যাচ্ছে সরকার স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় কমাচ্ছে, আর সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ধুঁকছে । সরকারি টাকায় মুনাফা লুটছে স্বাস্থ্যসাথীর নামে বেসরকারি হাসপাতালগুলো ।"