রবীন্দ্র সরোবরে দুই কিশোরের মৃত্যুতে পরোক্ষভাবে পরিবেশবিদদের দিকেই আঙুল তুললেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) । তাঁর মতে, রবীন্দ্র সরোবরে (Rabindra Sarobar) যদি রেসকিউ বোট থাকত, তাহলে ওই দুই ছাত্রকে বাঁচানো যেত । তাঁর অভিযোগ, পরিবেশ দূষণের কারণ দেখিয়ে রবীন্দ্র সরোবর থেকে পেট্রল চালিত রেসকিউ বোট তুলে নেওয়া হয়েছে । পরিবেশের দোহাই দিয়ে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালে পিটিশন করে রেসকিউ বোটটিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ।
শনিবার বিকেলে কালবৈশাখীর দাপটে রবীন্দ্র সরোবরে রোয়িং অনুশীলনের সময় ডুবে মৃত্যু হয় দুই কিশোরের । ঘটনার খবর পেয়ে রবীন্দ্র সরোবরে যান ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim on Rabindra Sarobar Accident) । সেখানেই তিনি পরিবেশবিদদের 'অতি-সচেতনতা' নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন । ফিরহাদ জানাচ্ছেন, তিনি নিজে পেট্রল চালিত বোটের বিরুদ্ধে । কিন্তু, অন্তত একটা রেসকিউ বোটও যদি সেখানে থাকত, তাহলে এরকম ঘটনা হয়তো ঘটত না । সময়মতো দুজনকে উদ্ধার করা যেত । তাঁর অভিযোগ, "পরিবেশবিদরা বাস্তবটা বুঝতে পারছেন না । রেসকিউ বোট থাকলে এমনটা ঘটত না । বিপদের জন্য একটা রেসকিউ বোট থাকা খুব দরকার ।" সেইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, "যেখানে রোয়িং প্রতিযোগিতা হয় সেখানে একটা রেসকিউ বোট নেই !" সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, রবীন্দ্র সরোবরে যাঁরা রোয়িং করছেন, তাঁরা কি আদৌ নিরাপদ ? কারণ, তাঁদের তো নিরাপত্তার কোনও ব্যবস্থাই নেই । সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীন অবস্থায় অনুশীলন করছেন তাঁরা ।
আরও পড়ুন, Student fells from building : মাসির বাড়িতে এসে মর্মান্তিক পরিণতি ! ২১ তলা থেকে পড়ে মৃত্যু ছাত্রের
শনিবার কালবৈশাখীর দাপটে রোয়িং (Rowing)করতে গিয়ে জলে ঢুবে প্রাণ হারায় দুই স্কুল পড়ুয়া । দু জনেই সাউথ পয়েন্ট স্কুলের (South Point School) পড়ুয়া বলে জানা গিয়েছে । তাদের নাম পূষণ সাধুখাঁ এবং সৌরদীপ চট্টোপাধ্যায় । পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন বিকেলে রোয়িংয়ের অনুশীলন করার সময় জলে নেমেছিল দুই পড়ুয়া । এদিন ঘণ্টায় প্রায় ৯০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়েছে কলকাতায় (Kolkata)। সেই হাওয়াতেই উল্টে যায় তাদের নৌকা । প্রাথমিক ভাবে উদ্ধার করে তাদের এসএসকেএম (SSKM Hospital) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানেই চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন । মৃতের একজন কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তার ছেলে বলে জানা গিয়েছে ।