কলেজের স্টাফরুমের আলমারিতে কার্তুজ সহ আগ্নেয়াস্ত্র। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় বনগাঁর গোপালনগরে। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে গোপালনগরের ন'হাটা যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে। এদিন ওই কলেজের এক কর্মী স্টাফরুমের আলমারি থেকে ওই আগ্নেয়াস্ত্র ও চার রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেন। স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ অর্ণব ঘোষ সহকর্মী অ্যাকাউন্ট্যান্ট রণপতি রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে গোপালনগর থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে অধ্যক্ষ অর্ণব ঘোষের উপর হামলা হয়েছিল। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত হন কলেজেরই অ্যাকাউন্ট্যান্ট রণপতি রায়। রণপতিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল৷ পরে জেল থেকে জামিনে মুক্ত হলেও সাসপেন্ড হওয়ায় তিনি কলেজে কাজে যোগ দিতে পারেননি। অধ্যক্ষের অভিযোগ, রণপতির আলমারি থেকেই ওই অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে।
এই বিষয়ে চৌবেরিয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তপন হাজরা বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আলমারি থেকে অস্ত্র উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় অবাক হয়েছি। এমন কাজ দণ্ডনীয় অপরাধ ।” তিনি আরও বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া আসলে ওই প্রতিষ্ঠানের অবমাননা৷ আমরা চাই দ্রুত এই ঘটনার তদন্ত হোক। দোষীকে গ্রেফতার করা হোক।”
যদিও এ বিষয়ে বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেন, “টিএমসির বহু ছেলেদের অস্ত্র হাতে ঘুরতে দেখা যায়। ন'হাটা কলেজে অস্ত্রের কারখানা আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা উচিত। আমাদের মনে হয় সিবিআই বা এনআইএ-কে দিয়ে এই ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত।”