নয় নয় করে প্রায় দু'মাস পর প্রথম বৃষ্টিতে ভিজল তিলোত্তমা(Rain in Kolkata)। দীর্ঘ দাবদাহের পর বিক্ষিপ্তভাবে হলেও ভেজা মাটির গন্ধ পেল শহরবাসী। কলকাতা ছাড়াও শুক্রবার সন্ধ্যায় হাওড়া(Howrah), হুগলি(Hooghly), উত্তর ২৪ পরগনা(N24 PGS), নদিয়ায়(Nadia) বৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে, কৃষ্ণনগরে ঝড়ের কবলে পড়ে মৃত্যু হল এক জনের। এর পাশাপাশি শান্তিপুর, নবদ্বীপ, করিমপুরে সেভাবে বৃষ্টি না হলেও কালবৈশাখী ঝড়ের দাপট দেখা গেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ধর্মতলা(Dharmatala), পার্ক স্ট্রিট(Park Street), চাঁদনি-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর(Alipore Weather Office) পূর্বাভাস দিয়ে জানিয়েছে, শুক্রবার রাতেই ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে কলকাতা ও শহরতলিতে।
পাশাপাশি শুক্রবার দুপুরে স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজল বীরভূম, বাঁকুড়া। দীর্ঘদিন ধরেই বৃষ্টির আশায় হা-পিত্যেশ করে বসে আছে দক্ষিণবঙ্গবাসী(Rain in South Bengal)। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হলেও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির এই প্রথম দেখা মিলল। যদিও কয়েকদিন ধরেই দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখীর পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। আগামী ২ মে থেকেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। তবে তার আগেই এই বৃষ্টিতে খুশি বীরভূম-বাঁকুড়ার বাসিন্দারা। শুধু বৃষ্টি(Rain Forecast) নয়; ঝড়, শিলাবৃষ্টির দেখা মেলায় বেজায় খুশি লালমাটির জেলার মানুষরা।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, পুরুলিয়া(Purulia),পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে আগামী ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। তবে তিনদিন পর থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গাতেই তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা। তবে শুক্রবার বীরভূম-বাঁকুড়া-পশ্চিম বর্ধমানের(West Burdwan) বিভিন্ন জায়গায় ঝড়-বৃষ্টি-শিলাবৃষ্টির দেখা মেলায় খুশি এলাকাবাসী।