বেশ কয়েক ঘণ্টা পর লালবাজার থেকে ছাড়া পেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । একইসঙ্গে ছাড়া পান লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee), রাহুল সিনহা (Rahul Sinha)-সহ অন্যান্য নেতারাও । লালবাজার (Lalbazar) থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বললেন, তাঁদের লড়াই জারি থাকবে ।
শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ করার পরই তাঁদের ছাড়া হয়েছে । নবান্ন অভিযানের শেষে তাঁদের কতজন কর্মী আহত হয়েছেন, সেই পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন । বিজেপি নেতা বলেন, 'কয়েকশো কর্মী, কার্যকর্তাকে বিভিন্ন থানায় আটকে রাখা হয়েছে । আমাদের প্রায় ২০০- ২৫০ কর্মী আহত হয়েছেন । তার মধ্যে ৫০ জনের বেশি বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন । আসানসোল, উত্তরবঙ্গ বিভিন্ন জায়গা থেকে আমাদের কর্মীর হাত ভাঙা হয়েছে, পা ভাঙা হয়েছে । ' তিনি জানান, বিজেপির সব কর্মীরা ছাড়া পেলে পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হবে। আইনি লড়াই জারি থাকবে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
বিজেপির নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে জায়গায় জায়গায় অশান্তি, উত্তেজনা ছড়ায় । এদিন দুপুরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি সাঁতরাগাছিতে। প্রথমে বিজেপি কর্মীদের পুলিশের বাধা দেয়, এরপর শুরু হয় পুলিশ-বিজেপি কর্মীদের বচসা। ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যান বিজেপি নেতা-কর্মীরা । পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ । মিছিল রুখতে পুলিশের তরফে পাল্টা জলকামান ছোড়া হয় । কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সাঁতরাগাছি। এছাড়াও পুলিশের দিকে পাথর ছোড়া থেকে শুরু করে পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপরে। যা নিয়ে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি ।