আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ঘটনার সময়ে ঠিক কারা কারা ছিলেন, সেই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজছে সিবিআই। মঙ্গলবার আদালতে সিবিআই আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, যে সিসিটিভি ফুটেজ তাঁদের হাতে রয়েছে, তাতে মূল অভিযুক্ত ছাড়াও, আরও কয়েকজনকে দেখা গিয়েছে। কাদের দেখা গিয়েছে সেই ফুটেজে? কারা ছিলেন ওইসময় আরজি করের ওই স্থানের সিসিটিভি'র নাগালের মধ্যে? সেই উত্তর এখনও জানা যায়নি। তবে, এই বিষয়টি নিয়ে যে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, সে কথাও স্পষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সিবিআই হেফাজত শেষে অভিযুক্তদের শিয়ালদহ আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। সেই শুনানির সময়েই সিবিআই আদালতে সিসিটিভি প্রসঙ্গ উল্লেখ করে।
উল্লেখ্য, আরজি করের ঘটনায় ধৃত কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের পূর্ব পরিচিত। মঙ্গলবার আরজি কর মামলার শুনানিতে শিয়ালদহ আদালতে এই দাবি করে সিবিআই। যদিও সিবিআইয়ের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন অভিজিতের আইনজীবী। পাল্টা আদালতকে তিনি জানিয়েছেন, এই মামলায় তাঁর মক্কেল তদন্তকারী অফিসার ছিলেন না। সহকারী হিসাবে কাজ করেছিলেন মাত্র।
তবে আরজি করের ঘটনায় অভিজিতের গ্রেফতারি ভাবাচ্ছে পুলিশের নীচুতলার কর্মীদের। সোমবারই সার্ভে পার্কে অভিজিতের বাড়িতে গিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের পদস্থ কর্তারা। তার পরেও লালবাজারের অন্দর থেকে যেন একটা চাপা ক্ষোভের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সেই চাপা আভাসকে আয়ত্তে আনতে এই পরিস্থিতিতে কী করণীয়, তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু প্রস্তাব।
সেই প্রস্তাবের মধ্যে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে অভিজিতের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়টি। তাঁকে আইনজীবী দিয়ে সাহায্য করা। আর সেই কারণে তিন পদস্থ কর্তাকে অভিজিতের বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল ফোর্সের তিন পদস্থ কর্তাকে। এমনকী, সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ জানতে আইনী সাহায্য করা হয়েছে অভিজিৎ মণ্ডলের স্ত্রী সঙ্গীতা মণ্ডলকেও।
এই পরিস্থিতিতে আরজি করের ঘটনায় তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার এই পুলিশ কর্মীকে পেশ করা হয়েছিল শিয়ালদহ আদালতে। তাঁকে ফের তিন দিনের হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। এদিনও আদালতে সিবিআই দাবি করেছে, সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে এই ঘটনায় জড়িত টালা থানার তৎকালীন ওসি। আর সেই কারণে, এই দু জনকে আরও জেরা করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।