একদিন আগে পর্যন্ত চাকরিটা ছিল । কিন্তু, ধীরে ধীরে কাজের দরজাটা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ওঁদের । সামান্য যে কটা টাকা পেতেন, তা দিয়ে সংসার চালাতেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) ইচ্ছে (Eecha) এন্টারটেইনমেন্টের কর্মচারীরা । কিন্তু, ম্যাডাম এখন জেলে । কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে । স্বাভাবিক ভাবেই কাজে রয়েছে অনিশ্চয়তা । এখন সংসার কীভাবে চালাবেন ভেবে পাচ্ছেন না কর্মচারীরা (Eecha Emloyees lost their job) ।
রবিবারই 'ইচ্ছে'-তে শেষ অনুষ্ঠান ছিল । মাস দুই আগে থেকে ৩১ জুলাই অন্নপ্রাশনের জন্য ভাড়া করা ছিল বাড়িটি । সেই অনুষ্ঠান মিটে গিয়েছে । এখন 'ইচ্ছে'-কে ঘিরে শুধু অন্ধকার । আলোর রোশনাই টুকু নেই । 'ইচ্ছে'-তেই কাজ করেন শম্ভুনাথ মজুমদার । তিনি আর কাজ করবেন না । তাঁর কথায়,‘টাকা পাবেন কি না, সেই বিষয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে । মাইনে দেওয়ার কেউ নেই । তাই কাজ বন্ধ করছেন । সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের মাত্র সাত হাজার টাকা মাইনে দেওয়া হয় । ২২৫ টাকা রোজ । কিন্তু, সেই টাকাও যদি তাঁরা না পান, তাহলে খেটে কোনও লাভ নেই ।
আরও পড়ুন, Arpita Mukherjee : ইডির নজরে এবার অর্পিতার ইমেইল আইডি, আরও তথ্য পেতে গুগলের দ্বারস্থ তদন্তকারীরা
শম্ভুনাথের গলায় আক্ষেপ, ইডি এখানে কোনও টাকা পায়নি। পুরোটাই জমির গন্ডগোল। তা-ও কাজ হারাতে হল । এরপর সংসার কীভাবে চলবে, সেই চিন্তায় মাথায় হাত পড়েছে তাঁর মতো আরও কর্মচারীদের ।
৯৬ নম্বর রাজডাঙা রোডে রয়েছে অর্পিতার ‘ইচ্ছে’। ২০১১ সালে বাড়িটি তৈরি হয় । প্রথমে তা পার্থের নামে ছিল । পরে সেখানে নিজের প্রযোজনা সংস্থা খোলেন অর্পিতা । ২০১৪ সালে বাড়ির মালিকানা যায় অর্পিতার নামে। তারপর থেকে শুটিং এবং অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেওয়া হত ওই বাড়ি । বাড়িটির তদারকির দায়িত্বে ছিল একটি সংস্থা । সেই সংস্থারই কর্মী শম্ভুনাথ এবং আরও কয়েক জন । শম্ভুনাথ জানিয়েছেন, সংস্থা থেকে নিয়মিত নিজের কমিশন নিয়ে যেতেন অর্পিতা । সম্প্রতি, এই কসবার রাজডাঙা মেইন রোডের উপর ‘ইচ্ছে’ বাড়িটি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম । এই জমিতে বাড়ি তৈরি করার পর পুরসভাকে বিপুল পরিমাণ কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে । দোষ প্রমাণ হলে কড়া ব্যবস্থার ইঙ্গিত দেন কেএমডিএর চেয়ারম্যান ফিরহাদ ।