সোমবার থেকে ফের বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ শুরু। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে রবিবার ফের জল ছাড়ল ডিভিসি। রবিবার মাইথন ও পাঞ্চেত, দুই জলাধার থেকে জল ছাড়া হয়। রবিবার সকালে ১০টা ১৫ মিনিট নাগাদ মাইথন থেকে ৩০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ে ডিভিসি। পাঞ্চেতে ২০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়। নদী তীরবর্তী এলাকায় সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।
গত কয়েকদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মুণ্ডেশ্বরী ও দামোদরের জল কিছুটা হলেও কমেছে। কিন্তু হুগলীর খানাকূলে জলযন্ত্রণা কমেনি। মাড়োখানা, হানুয়া, রাজহাটি, বন্দর, নন্দনপুর, ঢলডাঙা, কাকনান, কুশালি, জগতপুরের মতো অনেক এলাকা জলের তলায় আছে। কোথায় ১৭ ফুট, কোথাও ১৫ ফুট জল জমে আছে। ত্রাণ ও পানীয় জলের সমস্যাতেও পড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের বহু গ্রাম এখনও জলের তলায়। তবে শনিবারের থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আমতা ২ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত এলাকা এখনও জলমগ্ন। স্পিডবোটের মাধ্যমে খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। জেলা ও ব্লক স্তরে ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের ঘাটাল, দাসপুর, কেশপুর, ডেবরার মতো প্লাবিত এলাকা থেকে জল ধীর গতিতে নামছে। এখনও অনেক এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। ডেবরার বেশ কিছু রাস্তা জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে। ঘাটালের প্রত্যন্ত এলাকায় বোট নিয়ে ত্রাণ নিয়ে যান জেলাশাসক থেকে পুলিশ সুপার।
এদিকে বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুরে কংসাবতী জলাধার থেকে জল ছাড়ায়, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সেতু জলের তলায় রয়েছে। দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ায় বড়জোড়া, সোনামুখী ব্লকে মানাচর এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মুর্শিদাবাদে বহরমপুর ব্লকেও বন্যা পরিস্থিতি। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাঁধের ভাঙা অংশ মেরামতির কাজ চলছে।