কারোর বিচার চলছে, কেউ আবার সাজাপ্রাপ্ত। কিন্তু পুজোর ক'দিন পেট পুজোর ইচ্ছে সবারই। ষষ্ঠী থেকে দশমী কবজি ডুবিয়ে খাওয়ার বন্দোবস্ত হচ্ছে সংশোধনাগারে। দুর্গাপুজোর চারটে দিন স্বাদবদলের আবদার করেছিলেন বন্দিরা। পুজোর চারটে দিন ওদের পাতে পড়বে চিংড়ি-কাতলা-মাটন বিরিয়ানি।
বন্দিদের অনুরোধ মেনে নিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ। পুজোর চারটে দিন এবার এলাহি খাবার দাবারের আয়োজন হয়েছে রাজ্যের সংশোধনাগারগুলোয়। কী কী খাওয়া হবে পুজোর দিনগুলোয়? শোনা যাচ্ছে, কোনও দিন দুপুরে থাকছে মাছের মাথা দিয়ে মুগ ডাল, মাছের মাথা দিয়ে পুঁইশাক, কোনওদিন আলু-পটল চিংড়ি, কষা মাংস, মটন বিরিয়ানি, বাসন্তী পোলাও - সব থাকছে।
সকালের জলখাবারে লুচি-তরকারিও থাকবে জেলবন্দিদের পাতে। বাঙালির কাছে পুজো মানে অবশ্যই পেট পুজো তো বটেই। গারদের ওপারেও পুজোর আমেজটুকু থাকুক, এই ভাবনা থেকেই খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে। নিরামিষাশী বন্দিদের জন্যও আলাদা পদের ব্যবস্থা থাকবে ।
অধিকাংশ সংশোধনাগারে বিরিয়ানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে দশমীর রাতে। অষ্টমীতে থাকছে খিচুড়ি-লাবড়া। শেষ পাতে মিষ্টি মুখের জন্য কোনও দিন থাকছে পায়েস, কোনও দিন আইসক্রিম। মেইন কোর্সে কোনওদিন মটন কষা, কোনওদিন মুরগির ঝোল, কোনওদিন কাতলা কালিয়া।
এবছর প্রেসিডেন্সি জেলে হেভিওয়েট বন্দিদের সংখ্যা বেশি। প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ছাড়াও আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। এই মুহূর্তে রাজ্যের সংশোধনাগারে প্রায় ২৭ হাজার পুরুষ এবং ১৮০০ মহিলা বন্দি রয়েছেন।