আজ দশমী, বাঙালির সত্ত্বায় মিশে যাওয়া এক বিষাদের দিন। আজ দেবী দুর্গার বিসর্জন। মা মেনকাকে কাঁদিয়ে উমার কৈলাসে ফেরার পালা৷ মেয়ের বিদায়লগ্নে মেনকা একাই কাঁদেন না তাঁর সঙ্গে কেঁদে ওঠে কোটি কোটি বাঙালির প্রাণ, কেঁদে ওঠে আসমুদ্র হিমাচল গোটা বঙ্গদেশ।
সাধারণ পঞ্জিকা মতে এ বছর অষ্টমী এবং নবমী দুই-ই ছিল শুক্রবার। তাই অষ্টমীর রাত, আর নবমী নিশি মিলে মিশে একাকার। সারা বছরের অপেক্ষা যে চারটে দিনের জন্য, তাতে আবার ভাগ বসানো? কমে গেল একটা গোটা দিন। যদিও এ বছর বাংলাজুড়েই পুজোর মেজাজ খানিক ফিকে। পঞ্জিকা মেনে প্রতিমা বিসর্জন হয়তো দশমীতেই হবে না সব মণ্ডপে, তবে ঘট বিসর্জন হবে। হিন্দু মতে বিশ্বাস করা হয়, ঘট বিসর্জনের পরের মুহূর্ত থেকেই প্রতিমা শুধুই মাটির পুতুল, আর প্রাণ নেই তাতে।
বছরভরের অপেক্ষা, এত আলো-আনন্দ-আয়োজন ফুরিয়ে যাবে মুহূর্তে। উৎসব সত্য। তার চেয়েও বড় সত্য বিচ্ছেদ। 'যেও না নবমী নিশি..' বলে ডুকরে ওঠা বাঙালি আজ ডুকরে উঠবে মনখারাপিয়া সুরে। আজ থেকেই আবার শুরু একটা গোটা বছরের অপেক্ষা, যে অপেক্ষার আরেক নাম জীবন।