দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023 ) আসছে । কুমোরটুলিতে (Kumortuli) ব্যস্ততা তুঙ্গে । শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে । তখন আরেকদিকে, পটুয়াপাড়াতেও (Potuapara) একই ছবি । নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই কারও । কিন্তু, সমস্যা একটাই চাহিদা থাকলেও অর্থ নেই । দিন-রাত খেটে কাজ করেও প্রয়োজন অনুযায়ী মূল্য পাচ্ছেন না তাঁরা । কোনও সরকারি সাহায্যও নেই । ঘূর্ণির পটুয়া শিল্পী রেবা দেবীর গলাতেও সেই আক্ষেপ ঝড়ে পড়ল ।
বয়স ৭০-এর বেশি হবে । চামড়া ঝুলে পড়েছে, চোখে দেখতেও অসুবিধা হয়, ঠিকমতো চলতে পারেন না । কিন্তু, এখনও দিন-রাত এক করে পট চিত্র এঁকে চলেছেন রেবা দেবী । পুজোর যে আর বেশি বাকি নেই । কুমোরটুলি থেকে, বিদেশ থেকে অর্ডার এসেছে । কাজ না করলে সময়ে কীভাবে হবে । এটাই তো তাঁর জীবিকা, জীবনধারণের একমাত্র পথ । রেবা দেবী জানাচ্ছেন,পাল বাড়িতে বিয়ে হওয়ার পর থেকেই দেখছেন শ্বশুর ও স্বামীর পটচিত্র আঁকা । ধীরে ধীরে রেবা দেবীও স্বামীর সঙ্গে পটচিত্র আঁকা শুরু করেন । আর স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে অর্থাৎ প্রায় ১৯ বছর ধরে একা হাতেই সামলাচ্ছেন ব্যবসা । বাঁচিয়ে রাখছেন পটশিল্পকে ।
রেবা দেবীর একটা আক্ষেপ, পটচিত্রের দাম সেভাবে তাঁরা পান না । ছোট পটচিত্রগুলি ১০০ টাকারও কমে বিক্রি হয় । সেইসঙ্গে তাঁদের জন্য কোনও সরকারি অনুদানও নেই । সংসার চালাতে সমস্যায় পড়তে হয় । সেক্ষেত্রে পটচিত্রের জন্যও সরকার যাতে কোনও সুবিধা বা সাহায্য প্রদান করে, তাহলে তাঁর মতো অনেকেই উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন রেবা দেবী ।