আসানসোলের (Asansol) কুলটির নিয়ামতপুরের কুমোরটুলি । সেখানে গেলে দেখতে পাবেন বছর ১৭-১৮-এর এক যুবতীকে । যে, এক মনে কাজ করে চলেছেন । তাঁর হাতের শৈল্পিক ছোঁয়ার মা সেজে উঠছেন । পুরুষ মৃৎশিল্পীদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তৈরি করছেন প্রতিমা ।
দীপালি বাউড়ি (Dipali Bauri) । দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী । তাঁর বাবা বাবলু বাউড়ি ঠাকুর তৈরি করেন । ওই পরিবেশের মধ্যেই বড় হয়েছেন দীপালি । ছোট্ট বয়স থেকে বাবার পাশে বসে কাজ দেখতেন । প্রতিমা গড়ার খুঁটিনাটি শেখা তাঁর বাবার হাত ধরেই । এরপর ধীরে ধীরে নিজেও প্রতিমা গড়তে শুরু করেন । আর এখন তো দুর্গা প্রতিমাও তৈরি করছেন । (Asansol Woman Potter)
ঠাকুর গড়েই তাঁদের সংসার চলে । তাই, এখন বাবার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঠাকুর তৈরিতে হাত লাগিয়েছেন দীপালিও । পাশাপাশি, পড়াশোনাও করছেন । ভবিষ্যতেও মৃৎশিল্পীর পরিচয়েই বাঁচতে চান, বাবার পাশে দাঁড়াতে চান দীপালি ।