RG কর কাণ্ডে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এল। ওই ঘটনার DNA রিপোর্ট হাতে পেয়েছে CBI। সেই রিপোর্টে গণধর্ষণের কোনও উল্লেখ করা হয়নি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে।
৯ অগাস্ট RG কর হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার করা হয় নিহত চিকিৎসকের দেহ। ঘটনার তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয় রায় নামে এক অভিযুক্তকে। তারপর তদন্তভার যায় CBI-এর হাতে। তারপর ওই চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে কিনা তা জানতে DNA টেস্ট করা হয়। সেই রিপোর্ট ইতিমধ্যে CBI-এর হাতে পৌঁছেছে।
CBI সূত্রে খবর, তদন্তে যাতে কোনও ফাঁক ফোকর না থাকে তার জন্য মৃত চিকিৎসকের DNA টেস্ট করা হয়েছিল। জানার চেষ্টা করা হচ্ছিল ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা। কিন্তু DNA রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর স্পষ্ট হয়ে যায়, মৃত চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়নি।
এদিকে, RG কর কাণ্ডের চিকিৎকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তে একাধিক বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার দিন ওই চিকিৎসক শেষ কার কার সঙ্গে কথা বলেছেন তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। পাশাপাশি ধৃত সঞ্জয় রায় গভীর রাতে কীভাবে সেমিনার রুমে পৌঁছলেন সেবিষয়েও জানার চেষ্টা করছে CBI। তিনি কি একাই গিয়েছিলেন নাকি তাকে সেমিনার রুমে যেতে কেউ সাহায্য করেছিল সেই বিষয়টিও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
এদিকে সঞ্জয় ছাড়াও RG কর কাণ্ডের জেরে গ্রেফতার করা হয়েছে কলেজের প্রাক্তন অধ্য়ক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। যদিও তাঁকে খুন ও ধর্ষণ কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়নি। অভিযুক্ত সন্দীপকে গ্রেফতার করা হয়েছে আর্থিক দুর্নীতির মামলায়।