উত্তরবঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৫। রেলকে উদ্ধৃত্ত করে এই খবর জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই। এই ঘটনায় আহত ৬০ জন। সোমবার সকালে জলপাইগুড়ির কাছে রাঙাপানিতে শিয়ালদহমুখী এই এক্সপ্রেস ট্রেনের পিছনে এসে ধাক্কা মারে একটি মালগাড়ি। কী ভাবে দুটি ট্রেন এক লাইনে এল, তার তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মালগাড়ির চালকের। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ। দুপুরেই রাঙাপানি রওনা হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শিয়ালদহর দিকে আসছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস । নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন ছাড়ার এক ঘণ্টা পরই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ট্রেনটি । ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে খবর । তবে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি । ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রেলের উদ্ধারকারী দল । চলছে উদ্ধারকাজ । স্থানীয় বাসিন্দারাও উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন ।
রেলের তরফে দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে কিছুই জানানো হয়নি। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন সিগন্যালিং ব্যবস্থায় ত্রুটির কারণে একটি লাইনে দুটি ট্রেন পরপর এসে গিয়েছে। এবং সেকারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। যদিও সেক্ষেত্রে কবচ (KAVACH) প্রযুক্তি কেন কাজ করল না সেনিয়েও প্রশ্ন উঠছে। অন্যদিকে চালকের এবং সিগন্যালম্যানের গাফিলতি রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, " ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমি শোকাহত। দার্জিলিংয়ের ফাঁসিদেওয়া-তে ওই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে একটি মালগাড়ি ধাক্কা মেরেছে। উদ্ধারকাজে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, ডাক্তার, অ্যাম্বুল্যান্স এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম সেখানে পৌঁছে গিয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চলছে।"